
উপকূলীয় অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া এবং সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা এহতেশামুল পারভেজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকার কারণে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে হাতিয়া ও বেতুয়াগামী এবং বেতুয়া ও হাতিয়া থেকে ঢাকাগামী, ঢাকা থেকে খেপুপাড়গামী, খেপুপাড়া থেকে ঢাকাগামী, ঢাকা থেকে চরমোন্তাজগামী, ঢাকা থেকে রাংগাবালী এবং ঢাকা থেকে মনপুরাগামী উপকূলীয় অঞ্চলের নৌপথের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, “বঙ্গোপসাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে আগামীকালও দেশের সব জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর পরশু (শনিবার) থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।”
গেল ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, কক্সবাজারে ১১৪, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ১০৮, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৭৪, ফরিদপুরে ৬০, ভোলায় ৫৫, চাঁদপুর ও ফেনীতে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গল এবং সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ২৩ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]