
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিক বাড়ি ইউনিয়নের ধামশুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহাগ। ৩০ বছর বয়সের যুবক। সবেমাত্র কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। হঠাৎই শিকার হন সড়ক দুর্ঘটনার। সোহাগ চ্যানেল এন্টারপ্রাইজ লি. কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় ২১ নভেম্বর সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চিকিৎসা খরচের অভাবে চিরতরে পঙ্গু হওয়ার পথে।
চার বছর বয়সে সোহাগের বাবা মারা যান। বহু কষ্ট করে লেখা পড়া করিয়েছেন তার মা। সোহাগ আয় রোজগার করে খাওয়াতে পারল না তার মাকে। এর আগেই ভেঙে গেল সাজানো সংসার।
সোহাগের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। সামান্য ভিটেমাটি ছিল তা বিক্রি করে এবং এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এই পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়েছেন তার মা। এখন চিকিৎসা চালানোর মতো নেই কোনো জমানো অর্থ-সম্পদ।
বাঁচার তাগিদে তার মা কোনো প্রকার দিনাতিপাত করে যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় সোহাগের বাম পা ও বাম হাত ভেঙে যায়। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগায় বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে সাথে সাথেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কোন চিকিৎসা না পেয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ১৪দিন অজ্ঞান অবস্থায় আইসিইউতে ছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে সে। এখন আর চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ডাক্তার জানিয়েছে, চারটি ইনজেকশন আর থেরাপি দিলে সে আগের মতো সুস্থ হয়ে যাবে। চিকিৎসার বিলম্ব হলে বা অবহেলার কারণে হয়তো শরীরের এক সাইডের হাত-পা অবশ থেকে যেতে পারে। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ লক্ষ টাকা। এত টাকা জোগাড় করার মতো সামর্থ বা দানশীল আত্মীয়-স্বজন তার নেই।
এ পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা ।এখন আর চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সোহাগ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থভাবে বাঁচতে চায়। তাই সমাজের দানশীল ব্যক্তি, কল্যাণ সংস্থা ও সরকারের যেকোনোভাবে সাহায্য ছাড়া সোহাগের আর কোনো পথ নেই।
সোহাগ বলেন, আমার চিকিৎসা হলে আমি আবার স্বাভাবিক সুস্থ জীবন ফিরে পাবো। তাই চিকিৎসার জন্য জরুরিভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে চিরপঙ্গুত্বের হাত থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্য সকলের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
বিবার্তা/সাজ্জাদুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]