
ফেনীর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ দলটির ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী জাকির হোসেন শাকিলের মা কোহিনুর আক্তার ও অটোরিকশাচালক মো. সবুজের ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত শাকিল সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট মান্দারী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সবুজ লক্ষীপুরের বাসিন্দা, ফেনীতে রিকশা চালাতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। একই সময়ে শহরের ট্রাংক রোডে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহিপাল ফ্লাইওভারের দিকে এগোতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় গুলি, ককটেল বিস্ফোরণে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে সেখানে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও ইটপাটকেলের আঘাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করিম উল্লাহ বিকম ওরফে রেন্সু করিম, সোনাগাজীর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, দাগনভুঞার উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ, যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু প্রমুখ।
ওসি আরো জানান, সবুজ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ফরিদ মানিককে আখাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]