গোপালগঞ্জে লক্ষাধিক সনাতনদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৭:০১
গোপালগঞ্জে লক্ষাধিক সনাতনদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাটের প্রতিবাদে এবং ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে গোপালগঞ্জে লক্ষাধিক ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।


সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জেলা সদরের বঙ্গবন্ধু সড়কে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


জেলার ৫ উপজেলার প্রতিটি গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সমাবেশে এসে দেশব্যাপী ঘটে যাওয়া নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্লোগান দেয়। সমাবেশটি জেলা সদরের স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে পুলিশ লাইনস মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়ে।


এছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। যে যেখানে পারে সেখানেই রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এবং অধিকার আদায়ে ‘তুমি কে, আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘হিন্দুদের ওপর হামলা কেন, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘আমার মাটি, আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’সহ নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সমাবেশস্থল। বিভিন্ন জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর, মন্দিরের জায়গা দখল এবং অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সনাতনী মা-বোন, ভাইদের নির্যাতন, হত্যা ও দেশ ত্যাগের হুমকিসহ নানাবিধ নির্যাতনের প্রতিবাদেও স্লোগান দেয়।


সমাবেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা ও গোপালগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃনাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা ৮দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবির মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।


এছাড়াও, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা। দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করা। শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি ঘোষণা। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিতীশ বিশ্বাস, টিটো বৈদ্য, রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, পল্টন হালদার, সুশিল বিশ্বাস, সঞ্জয় সিকদার, আশিষ বাকচী।


বিবার্তা/শান্ত/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com