লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানা থেকে লুণ্ঠন হওয়া হওয়া অস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার হওয়া কিছু অস্ত্র, গুলি ও সারঞ্জাম সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ১৮ আনসার ব্যাটালিয়ন এবং উপজেলা আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা অস্ত্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
অস্ত্র, গুলি ও সারঞ্জামের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬২ মি. মি. রাইফেল, দুটি পিস্তল, একটি ডামি পিস্তল, তিনটি শর্টগান, দুটি হাতকড়া, ৫৬ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪৫ রাউন্ড রাবার কার্তুজ, ৩৯ রাউন্ড সিসা কার্তুজ, দুটি ওয়ারলেস, চারটি ল্যাপটপ, বন্দুকের মাথা দুটি, মোবাইল ফোনসেট ৪টি ও ইউপিএস একটি।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান।
তিনি জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্র ফেরত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়৷ এরপর কিছু কিছু অস্ত্র ফেরত আসতে শুরু করে। থানার পুকুরেও অস্ত্র পাওয়া যায়।
এদিকে শনিবার দুপুরে পুড়ে যাওয়া থানা পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামছুল আরেফিন, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতারা। তাদের সাথে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন তুর্কি, হারুন ও এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে সময় আমাদের কিছু অস্ত্র হারানো গেছে। আমি সাবইকে অনুরোধ করবো সে অস্ত্রগুলো দ্রুত থানায় জমা দিতে। সেনাবাহিনী অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করছে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, রামগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দারা ভাল থাকুক। সে জন্য আজকে থেকেই আমরা থানার কার্যক্রম শুরু করে দিলাম। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা রামগঞ্জ ও রায়পুর থানায় অগ্নিসংযোগ করে এবং অস্ত্র-গুলি লুট করে। থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়৷ এছাড়া জেলার বাকী চারটি থানার পুলিশ সদস্যরাও নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলছে জেলার ছয়টি থানার মধ্যে সদর মডেল থানা, চন্দ্রগঞ্জ থানা, রামগতি থানার কার্যক্রম শুক্রবার থেকে শুরু করা হয়।
বিবার্তা/সুমন/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]