সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নে জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. শামসুল হকের বিরুদ্ধে এক চাকরিপ্রত্যাশীকে নিয়োগ পরীক্ষা থেকে কৌশলে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাকরিপ্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য ৩০ জুন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ২ জুলাই মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ৩ জুলাই মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আজহারুল ইসলাম ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে ওই মাদ্রাসায় সহ-সুপার ও ইবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তি হাতে পেয়ে নির্ধারিত সময়ের ভেতর আজহারুল ইসলাম মাদ্রাসা সুপারকে ফোন করে নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। এ সময় সুপার আজহারুলকে আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করে জানান যে, সহ-সুপার পদে লোক নির্বাচন হয়ে গেছে। তবুও ৬ জুন আবেদন প্রস্তুত করে দাপ্তরিক সময়ে সুপারকে ফোন করে মাদ্রাসা কার্যালয়ে আছেন কিনা জানতে চান আজহারুল। তখন মাদ্রাসা সুপার জানান, তিনি প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। ৭ জুন আবেদনের শেষ তারিখ হলেও আজহারুলকে ৮ জুন আবেদন জমা দিতে মাদ্রাসা আসার আহ্বান জানান সুপার। যার কল রেকর্ড আজহারুলের সংরক্ষণে রয়েছে।
পরে আজহারুল ৮ জুন দুপুরে মাদরাসায় যান এবং কাউকে না পেয়ে আবারও সুপারের সাথে ফোনে কথা বলেন। তখন আজহারুল সুপারের কথামতো ফয়সাল নামের এক ব্যক্তির কাছে আবেদন পত্র জমা দিয়ে আসেন। কিন্তু আজহারুল পরবর্তীতে জানতে পারেন সুপার তার আবেদন পত্র গ্রহণ করেননি।
চাকরিপ্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম বলেন, সুপার মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার বাহানা দেখিয়ে এবং প্রার্থী নির্বাচন হয়ে গেছে এমনটি জানিয়ে আমাকে আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি কৌশলে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাই পুনঃরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আমাকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে ফয়সালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৮ জুন আজহারুলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদ্রাসা সুপারের সাথে কথা হয়। পরে তিনি আমার কাছে আবেদন রেখে দিতে বলেন এবং পরে উনি এসে নিবেন। কিন্তু আবেদন জমা দেওয়ার পর সুপার হুজুর বৃহস্পতিবার (১৩) জুন মাদ্রাসায় আসেন। এর আগে আর আসেননি। পরে উনার সাথে দেখা হলে আবেদনটা নিয়ে আসার কথা বললে হুজুর বলেন থাক।
৮ জুন আজহারুল কে মাদ্রাসায় আসতে বলেছিলেন স্বীকার করে মাদ্রাসা সুপার মো. শামসুল হক বলেন, প্রার্থী নির্বাচন হয়ে গেছে এমনটি বলিনি।৭ জুন আবেদনের শেষ দিন ছিল। উনি (আজহারুল) ৮ জুন বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পরে এসে অন্য জনের কাছে আবেদন দিয়ে গেছেন। এ আবেদন কীভাবে গ্রহণ করি।
মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা'র মোবাইলে একাধিক বার কল দেওয়ার পরেও উনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিবার্তা/শহীদুল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]