
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রাক্ত প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এক রোগীর স্বজন বলেন, তার দাদি ঈদের পর থেকে পেটের পীড়ায় ভুগছেন। গত পরশুদিন থেকে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা শুরু হলে তিনি ডায়রিয়া আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেছেন।
সজিব নামের এ করোগী বলেন, ঈদের পর দিন থেকে বমি ও অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েও কমেনি। এরপর সকাল থেকে হঠাৎ শুরু হয় ডায়রিয়া। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, গরম ও কোরবানির ঈদে অনেক বেশি মাংস খাওয়ায় এবং বাহিরে ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি ফাস্ট ফুড আইটেম বেশি খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গরমে বেশি করে পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকি। ডায়রিয়া হলে প্রচুর স্যালাইন পানি পান করতে হবে। একই সাথে খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]