রাজশাহীতে ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধা দেয়ায় হুমকি
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ২১:০৩
রাজশাহীতে ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধা দেয়ায় হুমকি
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় জোরপূর্বক ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধা দেয়ায় প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে তিন পরিবার। অব্যাহত হুমকির প্রেক্ষিতে পরিবারগুলো এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এরইমধ্যে অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এসকেভেটর মেশিনসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।


চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে দেয়া পৃথক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বামনদিঘী মৌজার ১২৩৩, ১২৩৫ ও ১২৩৬ দাগের মোট চার কাঠা জমির মালিক তিনজন। তারা হলেন- মোসা. লুৎফা বেগম, মো. ইনতাজ ফকির ও আজল বক্তার। জোরপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে তাদের জমিতে পুকুর খননের চেষ্টা করেন বামনদিঘী গ্রামের সিরাজ ফকিরের তিন ছেলে মো. মাসেম, মো. হাসিবুল ও জিয়াউর রহমান। এতে জমির মালিকরা বাধা দিলে তাদের ভয়ভীতি দেখান তারা। তাদের হুমকির প্রেক্ষিতে নিরুপায় হয়ে লুৎফা বেগম, ইনতাজ ফকির ও আজল বক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন।


লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও’র নির্দেশে চারঘাট থানা পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে অভিযান চালায়। পরে শলুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বামনদিঘী মৌজার ১২৩৩, ১২৩৫ ও ১২৩৬ দাগের পাশের ফসলি জমিতে পুকুর খননকালে এসকেভেটরসহ একজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক জমির মালিক লুৎফা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী আবু কাউসার মো. শামসুজ্জামানকে খোঁজ করেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা আগে থেকেই বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন।


ভুক্তভোগীরা বলছেন, তাদের তিনজনের চার কাঠা জমিসহ এবং পাশের আরেকজনের দুই কাঠা জমিতে পুকুর খনন করতে চান প্রভাবশালীরা। তবে তাদের জমিতে পুকুর খননে ব্যর্থ হলেও প্রভাবশালীরা পাশের আরেকজনের জমিতে পুকুর খনন শুরু করেন। এই পুকুর খননের ফলে তাদের জমি যে কোনো সময় ধসে পুকুরে পরিণত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত গণমাধ্যমকে জানান, হুমকি দেয়ার ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া লুৎফা বেগমের বাড়িতে আমি যাইনি। মাসেম, হাসিবুল, সোহাগরা গিয়েছিল। আমি এসকেভেটর মেশিনের ব্যবসা করি। এসব ঝামেলার মধ্যে আমি নেই।


জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সাইদা খানম জানান, ফসলি জমিতে কেউ পুকুর খনন করতে পারবে না। যে বা যারাই পুকুর খনন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এরই মধ্যে এসকেভেটরসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। হুমকির বিষয়টিও তারা অবগত হয়েছেন। ইউএনও’র নির্দেশে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


বিবার্তা/রানা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com