
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মৎস্যজীবীদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলায় ৩৪৮০ জন নিবন্ধিত কার্ডধারী মৎস্যজীবী রয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসের জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা ১৫৫০ জন মৎস্যজীবীদের জন্য চাল বরাদ্দ হয়েছে। ইন্দুরকানী খাদ্যগুদামে তিনদিন ধরে পাঁচটি ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
মৎস্যজীবীদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাদের মনগড়াভাবে তালিকা করে চাল বিতরণ করেন। দেখা যায় মৎস্যজীবীদের মূল তালিকায় নাম থাকলেও তারা চাল পায় না। আবার অনেককে বরাদ্দকৃত চালের অর্ধেক চাল দেওয়া হয়।
১৫ মে, বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইন্দুরকানী ইউনিয়নে নিবন্ধন কার্ডধারীরা বরাদ্দকৃত চাল নেওয়ার সময় অভিযোগ করে বলেন, তাদের বরাদ্দকৃত চাল থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত কেজি চাল কম দেয়। এছাড়া যাদের নামে চাল বরাদ্দ হয় নাই তাদেরকে চাল দিচ্ছে স্থানীয় মৎস্যজীবী নেতা ও ইউপি সদস্যরা।
এ নিয়ে গত সোমবার উপজেলা খাদ্যগুদাম ও মৎস্য অফিসের সামনে শত শত মৎস্যজীবীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, নতুন কার্ড করার সময় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে অথচ আমরা চাল পায় না ।
এর আগে গত ২০ মার্চ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেলিমা আক্তার বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দশজনের বরাদ্দকৃত চাল ইউপি সদস্য বাড়িতে নিয়ে পুরোনো ও নতুন কার্ডধারী মৎস্যজীবীকে সামান্য চাল দিয়ে বাকি চাল আত্মসাৎ করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোজ্জামেল হক জানান, এই উপজেলায় ৩৪৮০ জনের মধ্যে ১৫৫০ জনের চাল বরাদ্দ পায়। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মৎস্যজীবীদের তালিকা করেন। তারা সেই অনুযায়ী চাল বিতরণ করেন।
বিবার্তা/শামীম/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]