
করোনার সংক্রমণ রোধে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট। এরপর খুলে দেওয়া হয়নি চার বছরেও। ফলে হাটের ব্যবসায়ীরা চরম অর্থকষ্টে দিনযাপন করছেন। কবে নাগাদ হাট খুলে দেওয়া হবে- সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলতে পারছে না ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার তারাপুর সীমান্তে ২০১৫ সালের জুনে যাত্রা শুরু করে সীমান্ত হাট।
হাটে দুইদেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান রয়েছে। প্রতি রবিবার বসা হাটে বাংলাদেশি পণ্যগুলোর মধ্যে কাপড়, প্লাস্টিক ও লৌহজাত পণ্য বেশি কেনা-বেচা হতো। আর ভারতীয় পণ্যের মধ্যে প্রসাধনী, শাড়ি, থ্রি-পিস ও শিশুদের ডায়াপারের চাহিদা ছিল বেশি।
তবে করোনা মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে সীমান্ত হাটের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালে জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি।
তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও হাট খুলে না দেওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ব্যবসা না করতে পারায় অনেকেই চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের অনেকেরই ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাইকারিতে বিক্রি করা পণ্যের মূল্য আদায় করতে পারছেন না।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির (বাংলাদেশ অংশ) সভাপতি জেসমিন সুলতানা বলেন, দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকায় অবকাঠামোগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো সংস্কার কাজ চলছে। এটি শেষ হওয়ার পর হাট খোলার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে এখনও পর্যন্ত হাট খোলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
বিবার্তা/আকঞ্জি/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]