দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অঙ্কে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

এদিকে অভিযানের খবরে বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা সরে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সরে গেলে ব্যবসায়ীরা পুনরায় দোকানপাট খোলে। এ সময় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, ক্রয় মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তারা পণ্য বিক্রয় করেন। আড়তদাররা পণ্যের মূল্য বেশি রাখেন, তাই খোলা বাজারেও তাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ জন্য সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। পাইকারি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবি তাদের।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন অভিযান নেই। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোন পণ্যই বিক্রি হচ্ছে না। মুদি মালের পাশাপাশি মুরগী এবং গরুর মাংসের দাম ব্যবসায়ীদের পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে।

বিবার্তা/সুমন/সউদ