ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেমিক্যাল সংকটে ধুকছে ২৬টি অটোনির্ভর কারখানা
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেমিক্যাল সংকটে ধুকছে ২৬টি অটোনির্ভর কারখানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ মৌসুমে অটোমেশিন নির্ভর কারখানাগুলোতে প্রতিদিন কয়েক হাজার জোড়া জুতা উৎপাদন হওয়ার কথা, অথচ এমন সময়েও অলস পড়ে আছে এর কার্যক্রম। মূলত কেমিক্যাল সংকটের কারণে পাদুকা কারখানাগুলোতে এখন হতাশার চিত্র। ফলে ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। বেকার হয়ে আছে প্রায় সাত হাজার শ্রমিক।


বিশেষ করে রমজান এলে বাড়ে তাদের কাজের চাপ। তবে গেল দু’ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কেমিক্যাল সংকটে ধুকছে কারখানাগুলো। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। হাতেগোনা যে দুই-একটি কারখানা চলছে সেসবেরও রসদ ফুঁড়িয়ে আসায় ২/৩ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে কারখানার উৎপাদন।


কারখানার মালিক রফিক আহমেদ বলেন, মূলত আমদানি করা কেমিক্যাল চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে। বার বার আমদানিকারকদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও দিচ্ছি বলে আর দিচ্ছেনা। কেমিক্যাল না পাওয়াতে আমাদের প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।


সেভেন স্টার কারখানার মালিক মো: হানিফ মিয়া বলেন, বছরে আট মাস কাজের চাপ না থাকলেও রমজান আসার ঠিক ১৫ দিন আগে থেকে কাজের চাপ বেড়ে যায়। জুতার সব উপকরণ থাকলেও কেমিক্যালের কারণে এখন তা তৈরি করা যাচ্ছে না। এতে আমাদের ব্যবসায়ীদের যেমন সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকদের একই অবস্থা হচ্ছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অটোমেশিন পাদুকা কারখানাগুলোতে কর্মচঞ্চলতার কোন পরিবেশ নেই। শ্রমিকরা বসে মোবাইল চালিয়ে অলস সময় পার করছেন। জুতার সব উপকরণ তৈরি করে রাখলেও কেমিক্যালের অভাবে তা পুরোপুরিভাবে ফিটিং করতে পারছে না।


একাধিক শ্রমিকেরা বলেন, সারা বছর কাজ করে যা আয় করি। আমাদের তিনমাসে কাজের সিজনে দ্বিগুণ টাকা উপার্জন করে থাকি এ সময়ে। যা দিয়ে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে তেমন কষ্ট হয় না। এবারের মৌসুমে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। টানা ১৫ দিন ধরে কাজ নেই। এখন আমাদের মালিকেরাই চলবে কিভাবে আর আমরা বেতন পাব কিভাবে। জুতার পিউর কেমিক্যালের কারণে আমাদের কাজ বন্ধ রয়েছে।


এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিউ ফুটওয়্যার এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: আমানউল্লাহ বলেন, ২৬ টি অটোমেশিন কারখানায় দুই সপ্তাহ ধরে কেমিক্যালের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করে। তারাও এখন বেকার অবস্থায় রয়েছে। তাদেরকে কোনো কাজ দিতে পারছি না। কবে নাগাদ কেমিক্যালের সরবরাহ মিলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। সংকট সমাধানে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দ্রুত কেমিক্যালের ব্যবস্থা আমাদের করে দিলে সব ব্যবসায়ীরা লোকসানের হাত থেকে উদ্ধার হয়ে বাঁচতে পারবে।


বিবার্তা/নিয়ামুল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com