বিটিএসের টানে ঘরছাড়া তিন কিশোরী উদ্ধার
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫
বিটিএসের টানে ঘরছাড়া তিন কিশোরী উদ্ধার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

তিনজনেরই বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। রাজধানীর মেরাদিয়া এলাকায় থাকত তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ডদল বিটিএসের ভক্ত এই তিন কিশোরী। এই ব্যান্ডদলের টানেই ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টায় তাদেরকে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।


এর আগে ২৯ জানুয়ারি তারা ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, বিটিএসের স্টাইলে নিজেদের গড়তে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো ওই কিশোরীরা।


কিশোরীরা হলেন- ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রিজওয়ানা রিজু (১৪), জান্নাতুল আক্তার বর্ষা ও রুবিনা আক্তার মিম। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে তারা পালিয়ে যাওয়ার পর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তিন কিশোরীর পরিবার। ওই কিশোরীদের মধ্যে একজন একটি চিঠি লিখে যায়। চিঠিতে সে জানায়, মা-বাবার অবহেলায় বিটিএসের সদস্য জাংকুককে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর সে।


জানা গেছে, কিশোরী তিনজনই বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। রাজধানীর মেরাদিয়ায় থাকতেন তারা। সাধারণ ডায়েরির পর তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় নিখোঁজের এই তথ্য ছড়িয়ে দেয়।


এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পর গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর এক বাড়িমালিক কিশোরীদের খোঁজ দেন। ওই বাড়ির মালিক বলেন, টিভিতে তাদের নিখোঁজের খবর দেখে পুলিশকে জানান তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধারের পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়।


ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, টেলিভিশনের একটি কনসার্টের মাধ্যমে তারা বিটিএসের গান দেখে। এরপর থেকেই তারা এই ব্যান্ডদলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এক সময় ওই তিন কিশোরী চিন্তা করতে শুরু করে তারা ব্যান্ডদলের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারা খুব সরল ও সহজ চিন্তাভাবনা নিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।


পুলিশ জানায়, মেরাদিয়া থেকে টঙ্গীর আউচপাড়ায় বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে তিন কিশোরী। কেনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বিটিএসের মতো করে নিজেদের তৈরি করতে তারা ভর্তি হন জিমনেসিয়ামে। এছাড়া গার্মেন্টসে চাকরি করে কোরিয়া যাওয়ার প্রয়োজনীয় টাকা সঞ্চয়ের চিন্তা ছিল তাদের। এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিটিএস সাদৃশ্য বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।


ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যান, চুলা, বিছানা, হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে জীবন ধারনের জন্য যা যা দরকার তারা সব কিছুই কিনেছে। একই সাথে তারা গার্মেন্টসে কাজ পাওয়ার জন্য চেষ্টাও করেছে।


তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অপরাধী চক্রের কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার কারা যুক্ত, এর পেছনে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া অন্য কারও সাথে এই কিশোরীদের যোগাযোগ আছে কিনা সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com