
ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
২২ জানুয়ারি, সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের করা রিটে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে এই শপিং সেন্টারের লিজ গ্রহীতাদের আমমোক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের নিজ দায়িত্বে তা ভেঙে অপসারণ করতে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন সাজেদ সামী। রাজউকের পক্ষে ছিলেন মাজেদুল ইসলাম মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সিলগালা অবস্থায় রয়েছে গুলশান শপিং সেন্টার। এই শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে বানীচিত্র প্রতিষ্ঠান লিমিটেড ও চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানি হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন।
এ রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টারের লিজ গ্রহীতার আমমোক্তারদের নিজ দায়িত্বে তা ভেঙে অপসারণ করতে বলা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
জরাজীর্ণ হওয়ায় এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর গুলশান শপিং সেন্টারের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে তারা ডিএনসিসিকে ব্যবস্থা নিতে বলে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত শপিং সেন্টারটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে বাণী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। ২৩ জুলাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও মাহবুব হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শপিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় ডিএনসিসি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]