
নব্য সরকারিকৃত এক ডিগ্রি কলেজের ৬৭জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে যোগদান করেই অবসরে গেলেন ২৪জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ শিক্ষক ও ২ কর্মচারী মিলে মোট ৭ জন। ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি হলেও ৪৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করবে ওই কলেজ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাধীন চিলমারী ডিগ্রি কলেজে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চিলমারী ডিগ্রি কলেজ যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। উপজেলাভিত্তিক একটি কলেজ জাতীয়করণের লক্ষ্যে কলেজটিকে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট তারিখ থেকে সরকারিকৃত হিসাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনের আলোকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটি ৪৮জন নন-ক্যাডার শিক্ষক ও ১৯জন কর্মচারী মিলে মোট ৬৭জনের জন্য গত ৪ জানুয়ারি তারিখে নিয়োগপত্র ইস্যু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
এদের মধ্যে জীবিত আছেন ৬০শিক্ষক-কর্মচারী। সে মোতাবেক গত ১০ জানুয়ারি তারিখে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগদান করেন মো.আব্দুল মোত্তালেব। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে বাকী ৫৯জন শিক্ষক-কর্মচারী তাদের স্ব-স্ব যোগদান পত্র দাখিল করার কথা। ফলে ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি হলেও ৪৩জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করবে ওই কলেজটি।
সরেজমিনে চিলমারী সরকারি কলেজে জানা গেছে, নব্য সরকারীকরণ প্রতিষ্ঠানটির জন্য ৪৮ জন শিক্ষক (নন-ক্যাডার) ও ১৯ জন কর্মচারী (প্রদর্শকসহ) মিলে মোট ৬৭জন শিক্ষক কর্মচারীর নামে নিয়োগ পত্র ইস্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০জন শিক্ষক (জীবিত ১৫,মৃত ৫) ও ৪ জন কর্মচারী (জীবিত ২,মৃত ২) মিলে মোট ২৪জন শিক্ষক-কর্মচারী যোগদান করেই অবসরে যান।
৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখ থেকে সরকারি করণের ঘোষণা থাকায় ওই তারিখের পরে অবসরে যাওয়া এবং মৃত ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী আনুপাতিক হারে সরকারি সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। ফলে নব্য সরকারিকৃত ওই কলেজটি মাত্র ২৮জন শিক্ষক ও ১৫জন কর্মচারী নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি ডিগ্রি কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু করে।
এত বড় একটি কলেজ মাত্র ৪৩জন শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সচেতন মহলের ধারণা।
কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. জিয়াউর রহমান জুয়েল জানান, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসাবে এই কলেজে পাঠদান করাচ্ছি। এখন থেকে প্রতিষ্ঠান এবং আমরা সরকারি চাকুরিজীবী হওয়ায় সকলে আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়ায় এলাকার শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি আরোও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আসা করছি।
চিলমারী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.আব্দুল মোত্তালেব জানান, সরকারি করণের নিয়মানুযায়ী গত ১০জানুয়ারি তারিখে তিনি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগদান করেছেন। বাকী শিক্ষক-কর্মচারীতে যোগদান পত্র গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দায়িত্ব তার। এখন পর্যন্ত সকলের যোগদান পত্র জমা হয়নি। যোগদান পত্র সমূহ পেলে আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পন্ন করে ডিজি অফিসে জমা প্রদানের কথা জানান তিনি।
বিবার্তা/রাফি/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]