দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা সোলেমান আলী (৮০)। বয়সের ভারে অনেকটা নুয়ে পড়েছেন। চুল দাড়ি সব কালো থেকে হয়েছে সাদা। দুই ছেলে মেয়ে থাকলেও তাদের সংসারই চলে না সেভাবে। শীতকাল এলেই কষ্ট বাড়ে তার। কম্বল হাতে পেয়ে বেজায় খুশি সোলেমান আলী। তার চোখমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে আনন্দের ছাপ।

ব্যাংকার্স ক্লাবের কম্বল পেয়ে হাসিমুখে আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বললেন, এইবার কেনবা এত জার বাহে, হাত-পা কাঁপেছে (কাঁপছে)। এই জারত (শীত) কম্বলটা পায়া খুব উপকার হইল। এটা দিয়েই শীত পার করির নাগবে (লাগবে)।

সোলেমান আলীর মতো কম্বল পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন আরও ২৫০ জন ছিন্নমূল মানুষ।

১৯ জানুয়ারি, শুক্রবার সকালে খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের খামারবিষ্ণুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করে ব্যাংকার্স ক্লাব।

কম্বল পেয়ে টংগুয়া এলাকার সায়রা খাতুন (৬০) বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ যা পাই সেটা দিয়ে চলি। কম্বল কেনার টাকা জোটে না। কম্বল টা পেয়ে ভালোই হইল।

উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের বেলপুকুর শাহাপাড়া এলাকা থেকে কম্বল নিতে এসেছেন নবে রহমান (৭০)। কম্বল পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বয়স হয়েছে আর শরীর চলে না। রংপুর থাকি আসিয়া হামাক কম্বল দেইল। ওমার জন্য দোয়া করি আরও বড় হউক।

খানসামা সোনালী ব্যাংকের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর শাখার নির্বাহী পরিচালক ও রংপুর ব্যাংকার্স ক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সোনালী ব্যাংক পিএলসির জিএম রশিদুল ইসলাম, খানসামা সোনালী ব্যাংক পিএলসি শাখার ব্যবস্থাপক আবু নায়েম মীর শরীফ আহসান সহ অত্র শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর শাখার নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই শীতে গ্রামাঞ্চলে অনেক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যাংকার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

বিবার্তা/জামান/সউদ