ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ১৮:২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বাজেট ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।


২১ জুন, বুধবার বিকেল ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।


২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।


তিনি বলেন, ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য সিন্ডিকেট ৯১৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার প্রস্তাবিত পরিচালন বাজেট অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৭২৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা যা মোট ব্যয়ের ৬৮.২৯%; গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ ১৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৬৪%; অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৩.৬৯%; পণ্য ও সেবা বাবদ ২০৮ কোটি ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২২.৭৬% এবং মূলধন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৩.৫৪% বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


বিমক থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ কোটি ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৫৮%।


সংশোধিত বাজেটের বিষয়ে বলেন, ২০২২-২০২৩ সালের মূল বাজেট ছিল ৯২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। সংশোধিত বাজেটে ২ কোটি ২ লক্ষ ৩৫ হাজার বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৯২৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।


উক্ত সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুদান ৭৩৮ কোটি ৯ লক্ষ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৮৩ কোটি টাকা সহ আয় ধরা হয়েছে ৮৬৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৪১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মাত্র যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৩২%।


তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন প্রতিষ্ঠান (Profitable Entity) নয় এবং এর সম্পদও অফুরন্ত নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকারের নিকট হতে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ভর্তুকিভুক্ত উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত নয়। সমাজের বিত্তবান অভিবাবকগণ তাদের সন্তানদের জন্য উচ্চ শিক্ষার যুক্তিসঙ্গত ব্যয় বহন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে যা থেকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে।


বিবার্তা/সাব্বির/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com