আরিচা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সম্প্রসারণ করতে কাটা হচ্ছে সড়কের দুই পাশের ১০০৯টি গাছ। পরিবেশবাদীরা বলছেন, একসঙ্গে এতগুলো গাছ কেটে ফেললে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। স্থানীয়দের মধ্যেও রয়েছে চাপা ক্ষোভ। তবে নতুন গাছ লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন অনেকে।
৬ জুন, মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী এলাকায় দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের গাছগুলো কাটছেন শ্রমিকরা। আম, জাম, কাঁঠাল, কড়ই, মেহগনিসহ বিভিন্ন জাতের গাছ কাটা হচ্ছে। এরমধ্যে অর্ধশত বছরের পুরোনো গাছও আছে।
স্থানীয়রা জানান, উন্নয়ন দরকার আছে। কিন্তু এতগুলো গাছ একসঙ্গে কাটলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। তাই যতটা সম্ভব গাছগুলো রক্ষা করে কাজ করা দরকার।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জের বরাংগাইল থেকে টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে টাঙ্গাইল অংশে পড়েছে ৪০ কিলোমিটার। সড়কটি ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৪ ফুট প্রশস্ত করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৩৫ কোটি টাকা।
স্থানীয় সিএনজি চালক মোবারক হোসেন বলেন, রাস্তায় যখন গাড়ি চালাই, তখন ক্লান্ত হয়ে পড়লে গাছগুলোর নিচে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতাম। এছাড়া গাছ থাকার কারণে রাস্তায় রোদ পড়ত কম।
স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান কবির বলেন, এতগুলো গাছ কেটে ফেললে এলাকাবাসী, পথচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা হবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, গাছগুলো শতবর্ষী। হুট করেই গাছ কেটে ফেলা যায়। কিন্তু একটি গাছ পরিণত হতে দীর্ঘ সময় লাগে। একটি গাছের সঙ্গে অনেক প্রাণীর জীবনের অস্তিত্ব, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
পরিবেশ উন্নয়নকর্মী সোমনাথ লাহিড়ী বলেন, নির্বিচারে অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে, কিন্তু দেখার বা বাধা দেওয়ার কেউ নেই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মুকুট আবু সাইদ বলেন, আরিচা থেকে টাঙ্গাইল সড়কে ১২ লটে ১০০৯টি গাছ কাটা হচ্ছে। গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক প্রশস্ত করার পর পুনরায় দুই পাশে গাছ লাগানো হবে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]