এই প্রথম বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সারাদেশের ১২টি জেলা সদর হাসপাতাল ও ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো গত বৃহস্পতিবার এ উপজেলায়ও কার্যক্রমটি চালু করা হয়। তবে প্রচার প্রচারণা না থাকায় উদ্বোধনের প্রথম ৪ দিনেও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে রোগীদের তেমন একটা সাড়া মেলেনি। চারদিনে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন একজন সিজারিয়ানসহ ২৪ জন রোগী। প্রচারণার অভাবে সচেতন জনগণই জানেন না বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার কথা।
জানা যায়, সরকারি হাসপাতালে ইন্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাইলটিং ভিত্তিতে সরকারি চিকিৎসকদের দিয়ে সরকার নির্ধারিত ফিতে বৈকালিন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমে বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
ডাক্তারগণ ছুটির দিন ব্যতীত বিকাল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে বসেই সরকার নির্ধারিত ফিতে ব্যক্তিগত চেম্বারের মত রোগী দেখবেন। অধ্যাপক ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ৩০০ টাকা ফিতে রোগী দেখবেন। আর এমবিবিএস চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা।
তবে কার্যক্রমটি নতুন হওয়ায় উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে রোগীদের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। উদ্বোধনের দিন ১২ জন চিকিৎসা নিলেও পরবর্তী ৩ দিনে মাত্র ১২ জন রোগী চিকিৎসা নেন বলে বিবার্তাকে জানান টিকেট ক্লার্ক আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের।
সেবা নিতে আসা রোগী সুস্মিতার মা দিপু প্রভা বড়ুয়া বিবার্তাকে জানান, সুস্মিতা গত দু’তিন ধরে জ্বর ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন। তাই লোকমুখে শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। অপর রোগী হালিমা বেগম বিবার্তাকে বলেন, আমার ঠান্ডা, জ্বর ও কাঁশি হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত ফি কারণে একটু হলেও স্বল্পখরচে ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। এ উদ্যোগ নেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান রোগী হালিমা বেগম।
উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে রোগী দেখেন ডা. মো.শহীদুল ইসলাম ও ডা. সাজিনাতুন মরুয়া। তারা বিবার্তাকে বলেন, দ্রুততম সময়ে কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় এখনো জনগণ বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে তেমন অবগত নন বিধায় একটু সময় লাগবে।
কম রোগী আসার বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাঈন উদ্দীন মোরর্শেদ বিবার্তাকে বলেন, এটা নতুন একটি বিষয়। দ্রুততম সময়ে কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় প্রচার প্রচারণায় মাইকিং করা সম্ভব হয়নি। তবে সামন প্রচার প্রচারণায় মাইকিং করা হবে। এতে রোগী বাড়বে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক র্ভাচুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বিবার্তা/আরমান/রোমেল/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]