নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে শাহ পরান (৯) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি শাহ পরানকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
২৭ মার্চ সোমবার দুপুরে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশু শাহ পরান রসুলপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। সে স্থানীয় আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার তৃতীয় জামাতের ছাত্র।
নিহত শিশুর মা নাছিমা আক্তার জানান, তার সন্তান মাদরাসার আবাসিক ছাত্র। রবিবার বিকেলে তিনি নিজে সুস্থ্য অবস্থায় তার ছেলেকে বাড়ি থেকে এনে মাদরাসায় দিয়ে যান। সকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় তার ছেলে অসুস্থ , তাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে দেখেন তার ছেলের মৃতদেহ পড়ে আছে। তিনি দাবী করেন, তার ছেলেকে হত্যা করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার বা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসায় গিয়েও দেখা মিলেনি কোন শিক্ষক বা দায়িত্বশীল কারোই।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার রিয়াদ হোসেন জানান, সকালে আশরাফুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক বেলায়াতে ও কাউসার বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিকভাবে দেখে তাকে মৃত মনে হয়েছিলো, তারপরও আমরা তাকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর নিশ্চিত হই সে আগেই মারা গেছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ওই শিশুকে সকালে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশে খবর দিলে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু শিশুটি রবিবার রাত থেকে অসুস্থ সেহেতু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো তাকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করানো বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা। কিন্তু তারা সেটা না করে দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/সবুজ/সুমন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]