পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়। তবে সংঘর্ষের সময় আটক ১৬জন ছাড়া নতুন করে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার মধ্য রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ। এরমধ্যে বিস্ফোরক ও পুলিশের ওপর হামলা অভিযোগে কোতোয়ালী থানা পুলিশ, মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ, রেডিসনের সামনে জেলা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা পুলিশ এবং সংর্ঘষের ঘটনার জন্য কোতোয়ালী থানা পুলিশ সন্ত্রাস দমন আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করে।
বিয়ষটি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির বলেন, ‘৯০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫শ জনকে আসামি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। স্পট থেকে আটক ২০ জনের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ১৬জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে বিএনপি। মিছিল নিয়ে সমাবেশে যেতেই সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য ও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। বিএনপির নোতকর্মীরা সংঘর্ষ চলাকালে গণমাধ্যম চিকিৎসকেরসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পাশাপাশি পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটকের পর যাচাই বাছাই শেষে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিবার্তা/জাহেদ/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]