শিরোনাম
নদী ভাঙ্গনের কবলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৫৫ পরিবার
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৪:২৮
নদী ভাঙ্গনের কবলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৫৫ পরিবার
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং খালের পানির স্রোত তীব্র আকার ধারণ করে।স্রোতের তীব্রতার কারণে খালপাড়ে অবস্থিত শত বছরের পুরাতন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মংচিং হেডম্যান মার্মা পাড়া প্রতি বছরই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।


ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ৫-৬টি বসতভিটা ও আবাদী জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি হারানোর ভয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে চলে যান অন্যত্রে। বর্তমানে যারা আছেন তারাও বসতভিটা হারানোর ভয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন।


সরেজমিনে দেখা যায়, আলীকদম উপজেলার জনবসতি গড়ে ওঠার প্রথম দিকে চৈক্ষ্যং খালের তীরবর্তী এলাকায় শত বছর আগে বসবাস শুরু করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মার্মা সম্প্রদায়ের লোকজন। তখনকার সময়ে অন্য উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিলো নৌ পথ। সে সুবাদে এ পাড়াটি চৈক্ষ্যং খালের তীরে গড়ে উঠে। পরে এ পাড়ার আশপাশ এলাকায়ও ধীরে ধীরে বাঙালি জনবসতি গড়ে উঠে। বর্তমানে গ্রামটিতে ৫৫ পরিবারের বসববাস করছে।


চৈক্ষ্যং খালের নাব্যতা হ্রাসের কারণে এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি বৃদ্ধি পায়। একদিকে মাতামুহুরী নদীর স্রোত অন্যদিকে চৈক্ষ্যং খালের পানির তোড়ে তীব্র ভাঙ্গনে বছর বছর সংকুচিত হচ্ছে মার্মা পাড়ার পরিধি। অব্যাহত ভাঙণের মুখে প্রতি বছর ধ্বংস হচ্ছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এখন নদীর পাশে থাকা পরিবার গুলো চরম হুমকিতে রয়েছে।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মংচিং হেডম্যান পাড়ার পাড়া প্রধান অংসুই প্রু কারবারী জানান, ইতোপূর্বে বান্দরবান জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে এই গ্রামবাসীর পক্ষে একাধিক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই জানা যায়নি। যদি খাল ভাঙ্গণ রোধ করা সম্ভব না হয় তাহলে চলতি বর্ষার আরো কয়েকটি ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এদিকে মার্মা পাড়াটি রক্ষায় ব্লক বাঁধ নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান। তিনি জানান, আমার জানা মতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায়ের লোকজন প্রায় শতবছর ধরে মংচিং হেডম্যান পাড়ায় বসবাস করে আসছে। কিন্তু বর্ষায় চৈক্ষ্যং খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে খাল ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পাড়াটি। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বসতঘর খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনেক বার বলা হয়েছে কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।


বিবার্তা/লামা/বিদ্যুৎ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com