শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা’ ২০১৭ অনুস্মরণপূর্বক শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া থেকে শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন নন্দীগ্রাম উপজেলার এই কৃষি কর্মকর্তা।

সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়ার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দুলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি জানান যে, কৃষিবিদ আদনান বাবু নন্দীগ্রাম উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কাজ করছেন। কৃষিকে আধুনিক, যুগোপযোগি, বাণিজ্যিক ও রফতানীমুখী করার জন্য কৃষকদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বর্তমান করোনাকালে কৃষকদের সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন প্রাপ্তিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তর, বসতবাড়িতে সবজি, ফল বাগান স্থাপন, নিরাপদ, উচ্চ মূল্যের ফসল চাষ, বাণিজ্যিক কৃষি, আধুনিক জৈব কৃষি স্থাপনে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও পরামর্শ প্রদান করেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সরিষার আবাদ পূর্বের চেয়ে প্রায় ৪০০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে মরিচের আবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২ টি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে আধুনিক কৃষি যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। আধুনিক ও উচ্চ মূল্যের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী প্রদান করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আদনান বাবু জানান, কৃষি ও কৃষক আমাদের দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন এবং কৃষির উপর আস্থা রাখেন। সেদিক খেয়াল রেখেই নন্দীগ্রামে কৃষিকে আধুনিক, যুগোপযোগী, নিরাপদ, জৈব ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপদানের জন্য আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনার এই সময়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমেও কৃষি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের কৃষি বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি আগামী দিনে নন্দীগ্রামে কৃষিকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো।

বিবার্তা/মনির/ইমরান