শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা পরীক্ষায় দরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২১, ১৭:০৭
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা পরীক্ষায় দরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারি নির্দেশে চলতি মাসের শুরু থেকে অসহায় মানুষের জন্য করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ফ্রি করা হয়েছে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় অসহায় মানুষের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


সোমবার সদর হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে আসা কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, রসিদ ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি করে বহির্বিভাগের টিকিট হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে।


শহরের হাজীপাড়ার আব্দুল হাদি সরকার বলেন, এখানে যত জন নমুনা পরীক্ষা করতে এসেছেন, সবার কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। যেখানে অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষার কথা সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবার কাছ থেকে রসিদ ছাড়াই টাকা নিচ্ছে। আমার কাছ থেকে নমুনা পরীক্ষার টাকা নেয়ার পর রসিদ না দেয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো উত্তর দিতে পারেনি।


শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া থেকে সস্ত্রীক এসেছেন আয়ুব আলী। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। আয়ুব আলী বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য আমাদের দুজনের কাছ থেকে রসিদ ছাড়াই ১০০ টাকা করে নিয়েছে।


এ বিষয়ে সদর হাসপাতারের হেল্প ডেস্কের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. শফিক জানান, প্যাথলজি ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা ফনিরের নির্দেশে তিনি টাকা নিচ্ছেন।


ফনিরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষার সরকারি নির্দেশনার মেইলটি আসতে দেরি হয়েছে। যার কারণে টাকা নেয়া হচ্ছে।


এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নাদিরুল আজিজ চপলের কার্যালয়ে গেলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি।


জেলা সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, সরকারের নির্দেশে গরিব ও অসহায়দের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষা শতভাগ বিনামূল্যে করা হচ্ছে বলে আমি জানি। নমুনা ফরমে কেউ যদি নিজেকে গরিব দাবি করেন তাহলে তার পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হবে এমন নির্দেশনা দেয়া আছে।


তিনি আরো বলেন, হেল্প ডেস্কে পর্যাপ্ত ফরম আছে। কিন্তু ফরম কেন ওরা দিচ্ছে না তা আমি বুঝতে পারছি না। রসিদ না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন করোনা টেস্টের জন্য রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হবে তখন অবশ্যই তাদের রসিদ দেয়া হবে। আর কেউ টাকা দিতে না পারলে তাকে ফরম পূরণ করতে হবে। সরকারি টাকা সরকারি কোষাগারে দিতে হবে। যদি ১০০ টাকা হয় সেটাও কোষাগারে জমা দিতে হবে। আমি এ বিষয় এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।


বিবার্তা/বিধান/অনামিকা/আরকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com