বর্তমান সরকারের নেয়া পদক্ষেপে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে গ্রামবাংলার দৃশ্যপট। টিআর কাবিটা প্রকল্পে পাল্টে গেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাঘাট। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কুড়িগ্রামের গ্রামীণ জনপদে উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ পনির উদ্দিন আহমেদের বিশেষ বরাদ্দে কাবিটা ২য় ও ৩য় পর্যায়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩০টি প্রকল্পের অধীনে সড়কে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের অধীনে প্রকল্পের এই কাজ বাস্তবায়ন হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার টিআর- কাবিটার টাকায় রাস্তাগুলো সুন্দরভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি বেশি করে রাস্তাঘাটসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা হবে।

উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সরকারপাড়ার মনসুর, নইমুদ্দিন জানায়, সড়কগুলোতে মাটির কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করায় এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছে। সেই সাথে কাজগুলো মজবুত করায় উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান তারা।

হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচরের আশরাফ বলেন, ইতিপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ কর্মসূচির পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী ওই সড়কে মাটি দিতে দিতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে মাটির কাজ করে দেয়ায় যাতায়াতের নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে আর কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী খুশি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিজানুর রহমান বলেন, টি আর বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে কাবিটা প্রকল্পের অর্থায়নে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে।

পাশাপাশি রাস্তার দু'ধারের মাটি আটকানোর জন্য মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়েছে। নতুন এই পদ্ধতিতে সড়ক সংস্কারে পথচারীরা যাতায়াতের দীর্ঘস্থায়ী সুফল ভোগ করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, প্রকল্পের মাটির কাজের রাস্তাগুলোর টেকসইয়ের জন্য প্রটেকশন একটি ভালো পদক্ষেপ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানান, ‘গ্রাম হবে শহর’-প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন অঙ্গীকার আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। উন্নয়নবান্ধব সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।

বিবার্তা/বিপ্লব/ইমরান/আরকে