শিরোনাম
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে আশাবাদী মেয়র তাপস
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২১, ১৮:১০
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে আশাবাদী মেয়র তাপস
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আমরা কৌশল পরিবর্তন করেছি। আগামী দুই সপ্তাহ পর হতে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


বুধবার পান্থপথের পান্থকুঞ্জ বক্স কালভার্ট ও পান্থকুঞ্জ অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (সেকেন্ডারি ট্রানস্ফার স্টেশন- এসটিএস) উদ্বোধন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এই মন্তব্য করেন।


ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঢাকাবাসীকে আমরা একটু ধৈর্য ধারণ করতে অনুরোধ করছি। আমরা কৌশল পরিবর্তন করেছি। এখন আমরা যে কার্যক্রম নিচ্ছি, আমাদের সকালের কার্যক্রম ৪ ঘণ্টায় চলছে, বিকেলের কার্যক্রম আমরা আরো বৃদ্ধি করেছি। সুতরাং আমরা আশাবাদী, আগামী দুই সপ্তাহ পর হতে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে ডেঙ্গুর জন্য আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে আবার এপ্রিল থেকে আমরা কার্যক্রম আরম্ভ করব।"


নতুন কৌশল ও কীটনাশক কেন আগে পরিবর্তন করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমি একটি বিষয়ে আপনাদের পরিষ্কার করতে চাই। আমাদের বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তারা ঘটনা ঘটে গেলে অনেক বড় বড় পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগে আমাদের কি করনীয়, আমাদের কি পদক্ষেপ নিতে হবে, সে রকম পরামর্শ আমরা পাইনা। আমাদেরকে বলা হয়েছিল, ডেঙ্গুর প্রকোপটা যেহেতু আছে, তাই এই কার্যক্রম ডিসেম্বর পর্যন্ত চালিয়ে নিতে হবে। কিন্তু সেই কার্যক্রমটা ভুল ছিল। শীত আসার সাথে সাথেই আমাদেরকে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেয়া উচিত ছিল। কারণ, পানি বদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল।"


তাপস এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, "আমরা যদি খালগুলো আরো দুমাস আগে পেতাম তাহলে হয়তোবা আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আরো বেগবান করতে পারতাম। তাহলে ধীরে ধীরে কিউলেক্স মশার প্রভাব কমে যেত আমরা কীটনাশক পরিবর্তন করলে ফলাফল পেতাম।"


ডিএসসিসি মেয়র বলেন, "গত জানুয়ারি থেকে আমরা খালগুলো হতে যে বর্জ্য অপসারণ ও চ্যানেল পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম শুরু করেছি, সেই কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার খাল হতে বর্জ্য-পলি অপসারণ করা হয়েছে। এই সময়ে আমরা প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য-পলি অপসারণ করেছি।"


এ সময় একটি পাম্প স্টেশনও পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, "আমাদের মেয়র সাহেব উদ্যোগ নিয়ে মেনটেনেন্স করেছেন এবং সেটি সচল করার ব্যবস্থা করেছেন। আমরা আশা করি, এখন যেভাবে কাজ চলছে, মার্চ-এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে অনেক কাজে অগ্রগতি সাধিত হবে।"


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "রাজধানীর খালসমূহের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খালের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত সব ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে।"


ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।


স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ও ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর আগে সকাল সোয়া দশটা হতে জিরানী খালের নন্দীপাড়া ব্রিজ অংশ, খিলগাঁও-বাসাবো, মান্ডা খাল, জিরানী খাল ও সেগুনবাগিচা খালের সংযোগস্থলের সুখনগর খাল, টিটিপাড়া পাম্প স্টেশন, শ্যামপুরের বউবাজার, সালাউদ্দিন স্কুল, জিয়া সরণি, কাজলার পাড় এলাকায় চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।


এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সি মোঃ আবুল হাশেম, কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/বিপ্লব/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com