শিরোনাম
ঝিনাইগাতীতে ধানের পোকা দমনে ‘আলোক ফাঁদ’
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২১, ১৫:৫৪
ঝিনাইগাতীতে ধানের পোকা দমনে ‘আলোক ফাঁদ’
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করছে কৃষি বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকমাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় ও দমনে ব্যবহৃত জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তির নাম ‘আলোক ফাঁদ’। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ধানের পোকা-মাকড় চিহ্নিত ও দমন করার জন্য এ পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। গত মঙ্গলবার (২মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১টি বøকে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষি বিভাগ এই কর্মসূচি শুরু করে।


উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছর ১৩ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ধান চাষে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এতে করে ফসলের জমির উপকারী অনেক পোকা মারা যায়। কৃষকেরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পরে কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমবে, আর ফসল থাকবে বিষমুক্ত।


সরেজমিনে দেখা যায়, ধানের জমির পাশে তিনটি খুঁটি দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক লাইট ঝোলানো হয়েছে। লাইটের নিচে একটি পানির পাত্র রাখা হয়েছে, পাত্রের পানিতে ডিটারজেন্ট সাবান মিশ্রিত করা হয়েছে। লাইটের আলো জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ফসলের জমির বিভিন্ন পোকা এসে নিচে রাখা পানিতে পড়ে মারা যাচ্ছে। এভাবেই ‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহার করে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।


‘আলোক ফাঁদ’ দেখতে আসা কৃষক হোসেন আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, এখন থেকে ফসলের জমিতে কীটনাশক দেওয়ার আগে এভাবে দেখব জমিতে পোকা আছে কি না।


বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে পাইকুড়া গ্রামের কৃষক সাদ্দাম মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান, তার জমির ধানগাছের পাতা সংকুচিত হয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানোর পর তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসে তার জমির পাশে ‘আলোক ফাঁদ’ তৈরি করেন। পরে এই ‘আলোক ফাঁদ’ জ্বালানোর সাথে সাথে শত শত পোকা আলোর কাছে চলে আসে ও মারা যায়। এটা পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি বলে মনে করেন তিনি। এতে করে তার খরচ অনেকটা কমবে। একই সঙ্গে সহজেই পোকা-মাকড়গুলো চিহ্নিত করা গেছে বলেও জানান এ কৃষক।


এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে কৃষক সহজেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড় আছে কি না তা জানতে পারবেন। এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ কমে যাবে ও ফসল হবে বিষমুক্ত।


বিবার্তা/মনির/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com