শিরোনাম
গৌরীপুরে নদী গর্ভে বিলীন অর্ধশতাধিক বাড়ি ও ফসলি জমি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৩
গৌরীপুরে নদী গর্ভে বিলীন অর্ধশতাধিক বাড়ি ও ফসলি জমি
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়নমসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে বৃষ্টির পানিসহ উজানের বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও নদী ভাঙনের কবলে কুমড়ী গ্রাম। নদী খনন না হওয়ার ফলে নদীর গতিপথ হারাচ্ছে। এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশও জীব-বৈচিত্র্যের। বিনষ্ট হচ্ছে বসত বাড়ি।


গত বছরেও অনেক ফসলি জমি রাস্তাসহ এই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে সুরিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি। স্থানীয়রা মনে করছেন নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কয়েকশ একর আবাদি জমিসহ ভিটেহীন হয়ে পড়বে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার।


বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা এমন চিত্রই দেখা গেছে। উল্লেখিত ইউনিয়ের নয়ানগর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাহ মাঠ, বসতবাড়ি ও কুমড়ী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার রাস্তাসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে কয়েক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কুমড়ী গ্রামের নদীর পাড়ের বাসিন্ধারা পরিবার নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নদীর পারে দিন যাপন করছে।


কুমড়ী গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মো. মতিউর রহমান (এন্টেশ মিয়া) জানান আমার আবাদি জমি সুরিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমনকি আমার বসত ঘরটি অর্ধেকের বেশী নদী গর্ভে চলে গেছে। তাই ঘরটি তাড়াতাড়ি সরিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাড়ির জায়গাটুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঐ গ্রামের বাসিন্দা শামীম, রতন,সুমন, জানান সুরিয়া নদীর পাড়ে অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসবাস। আমাদের ফসলি জমি যা ছিল এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।


এখন বাড়িটিও নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। আমাদের মত অনেকের ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে ,যদি নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে ফললি জমি বাড়ি ঘর, বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।


স্থানীয়রা জানান যে জায়গায় নদীটি বাকা দিয়েছে সেই জায়গায় যদি কেউ ১০০ ফুটের মতো বাঁধ৷ দিয়ে দিতো তাহলে এ ভাঙ্গন থেকে আমরা রক্ষা পেতাম।


এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা'র ব্যবহৃত মুঠোফেনে জানান, জিপিপি তৈরি করে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয়ে প্রস্তার আকারে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/হুমায়ুন/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com