জামালপুরের মেলান্দহে মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে নিখোঁজের ২১দিন পর আমান উল্লাহ নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পুলিশের একটি দল সরুলিয়া গ্রামের ওই মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংক থেকে আমানের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আমান জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ভেলামারী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। গত ১৫ আগস্ট দুরমুঠের সরুলিয়া গ্রামে মামা আরিফুজ্জামানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো। আমান গ্রামের বাড়ি মাদারগঞ্জের ভেলামারিতে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫আগস্ট মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউপির সরুলিয়া গ্রামে মামা আরিফুজ্জামানের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্র আমান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ১৯আগস্ট তার মা আলপনা বেগম এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুলিশ সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ আমানের অনুসন্ধান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে এ ঘটনার সঙ্গে সরুলিয়া গ্রামের হাশর আলীর ছেলে দাকিল হোসেনের জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়।
এদিকে নিহতের পরিবারের সন্দেহ এবং পুলিশের তদন্ত তৎপরতা অব্যাহত থাকায় অবস্থা বেগতিক দেখে ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দাকিল হোসেন মেলান্দহ থানায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আমানের মামা আরিফুজ্জামানের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংকে আমানের মরদেহ গুম করার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।
মেলান্দহ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দাকিল হোসেনের তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংক থেকে আমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহের কঙ্কালগুলো মর্গে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কিছু আলামত ঢাকায় পাঠানো হবে।
ওসি আরো জানান, দাকিল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
জামালপুরের এএসপি সীমা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আত্মস্বীকৃত খুনি দাকিল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ হত্যার রহস্য খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা আল্পনা বাদি হয়ে রাতেই মামলা দায়ের করেছে।
বিবার্তা/ওসমান/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]