খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাবুছড়া ইউনিয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পড়ুয়া দুই ভাই। সজীব চট্রগ্রাম শ্যামলী আইডিয়েল কলেজে ও সৌরভ ফেনী আইসিএসটি কলেজের ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়িতে চলে আসে মশিউর রহমান সজিব ও আসিফুর রহমান সৌরভ।

হঠাৎ ভিন্ন রকম তাদের কাজে হতবাগ এলাকার মানুষ। লকডাউনে বাড়িতে এসে তাদের মায়ের কাছ থেকে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চায়। মাও তার দুই ছেলেকে ৩৫ হাজার টাকা করে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই টাকায় তারা মোবাইল না কিনে কোয়েল ও সোনালী মুরগির ফার্ম শুরু করে।

সজীব ও সৌরভের মা রূপা মজিব বলেন, আমার দুই ছেলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পড়ছে। কলেজ বন্ধ হওয়ায় বাসায় চলে আসে, হঠাৎ আমার কাছে থেকে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চায়। আমি দুই ভাইকে ৭০ হাজার টাকা দেই। সেই টাকা দিয়ে মোবাইল না কিনে দুই ভাই মিলে পরিকল্পনা করে ফার্ম করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সজীব ও সৌরভ খামারে কাজে ব্যস্ত। তারা বলেন, আমাদের কলেজ বন্ধ থাকায় কোনো কাজ না থাকায় মায়ের কাছ থেকে মোবাইল কেনার জন্য দুই ভাই ৭০ হাজার টাকা নেই। মোবাইল না কিনে দুই ভাই মিলে পাচঁ শতাধিক কোয়েল পাখি ও সাড়ে চার হাজার সোনলী মুরগির ছানা ও শতাধিক দেশি জাতের মুরগি দিয়ে ফার্ম শুরু করি। আশা করছি আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে লাভের মুখ দেখবো।

তখন মায়ের টাকা ফেরত দিতে পারবো। আর তখন নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে মোবাইল কিনবো এবং আমাদের এই উদ্যোগ দেখে পড়ালেখার পাশাপাশি বেকার বসে না থেকে অনেকেই নিজেরা কিছু করার চেষ্টা করবে বলে তারা জানান।

বিবার্তা/মামুন/জাই