শিরোনাম
তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২০, ১২:৫০
তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সোমবার বেলা ১১টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার রাত ১২টায় সেখানে পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে। রাতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও এর আশপাশ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।


তিস্তার এমন রুদ্রমূর্তিতে রাতে ব্যারাজ এলাকায় ছুটে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ। দীর্ঘ সময় অবস্থান করে তিনি ঘুরে দেখেন ব্যারাজ ও ফ্লাড বাইপাস এলাকা।


এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম, নির্বাাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) একেএম সামসুজোহা ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক।


উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে গত শুক্রবার। সেই থেকে বিপৎসীমার ওপরে চলছে পানি প্রবাহ। টানা চার দিনের ঢলে জেলার ডিমলা উপজেলার নদীবেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপনী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের দশ হাজার পরিবার দ্বিতীয় দফায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এসব পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারিভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ টাকা ও ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।


ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, উজানের ঢলে রবিবার (১৩ জুলাই) রাত ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সোমবার সকাল ৮টায় কিছুটা কমে ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।


তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে গত শুক্রবার দুপুরে। সেদিন রাতে ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ৩৩ সেন্টিমিটার ও রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।


চলতি বর্ষায় তিস্তার পানি প্রথমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করে গত ২৬ জুন। সেদিন সকাল থেকে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অব্যাহত থাকে ২৮ জুন পর্যন্ত। ২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ৬ জুলাই থেকে ১০ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিছে ছিল। সেদিন দুপুরে বিপৎসীমার ওপরে উঠলে রাতে ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, তিস্তা ব্যারাজের পানি ধারণক্ষমতা রয়েছে সাড়ে চার লাখ কিউসেক। এর বেশি প্রবাহ হলে পানি অপসারণের জন্য ফ্লাট বাইপাস খুলে দিতে হয়। গত রাতে ওই ফ্লাট বাইপাস খুলে দেয়ার কাছাকাছি পানি প্রবাহ পৌঁছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।


ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, বন্যায় সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। আজকের মধ্যে বিতরণ করা হবে।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com