রাজশাহীর তানোরে সরকারি নিদের্শনা না মেনে মার্কেটগুলোতে চলছে বেচাকেনা। মার্কেট খোলার আগেই ক্রেতারা এসে ভিড় করছেন মার্কেটের সামনে। আর মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দোকানগুলোতে। অধিকাংশই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই কেনাকাটা করছেন লোকজন। বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তানোর পৌরসদরের গোল্লাপাড়া বাজার, মুন্ডুমালা বাজার, তালন্দ বাজার, কালীগঞ্জ বাজার,কামারগাঁ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের মার্কেট খোলার পর মার্কেট, বিপণি বিতান এমনকি অলিগলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মানুষের ভিড়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সচেতন মহল।
তাদের দাবি, এভাবে ঘর থেকে মানুষ বের হয়ে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থীভাবে চললে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে পুলিশ, সেনাবাহিনী টহল থাকলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না।
তানোর গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক ব্যবসায়ী নির্ধারিত সময় মানছেন না। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখছেন না। গত চারদিন থেকে তাদেরকে বারবার সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য বলা হচ্ছে।
কলেজ শিক্ষক রাকিবুল সরকার পাপুল বলেন, মার্কেটের দোকানগুলোতে মানুষ গা ঘেঁষে চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাতে করোনা মহামারির আকার ধারণ করবে। এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
মার্কেট এলাকায় বসবাসকারী বাপ্পী দাস বলেন, শিশু সন্তান নিয়ে যেভাবে কাপড় ও গার্মেন্টের্স দোকানগুলোতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে কেনাকেটা করছে তাতে মোটেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আমাদের দেশের জনগণ এখনও সচেতন নয়। আর সরকারই বা কি করবে। তবে সর্বোপরি আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা মৌখিকভাবে সর্তক করছি। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনেই মার্কেটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/অসীম/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]