শিরোনাম
কিশোরগঞ্জে পুলিশ-গ্রামবাসির সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ১০
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২০, ১১:১৪
কিশোরগঞ্জে পুলিশ-গ্রামবাসির সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ১০
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ঈদগা ময়দান নদী ভাঙ্গন রক্ষার্থে বালু দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ নির্মাণে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওসিসহ ১০ জন।


সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়াডের হাটখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া চারালকাটা নদী খননে গ্রামের ঈদগা ময়দানটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। ফলে গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় ঈদগা ময়দান রক্ষার্থে বালির বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করলে একই গ্রামের মৃত, ঈসাউদ্দিনের ছেলে তছলিম উদ্দিন ঈদগা ময়দানের জায়গা তার নিজের দাবি করে গ্রামবাসীকে বালির বাধ নির্মাণে বাধা দিয়। তছলিম তার লোকজন নিয়ে ২১ এপ্রিল গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ চারজনকে মারপিট করে। ২২ এপ্রিল তছলিম উদ্দিনসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ৭)।


অপরদিকে তছলিম উদ্দিনও পাল্টা মামলা দায়ের করেন। তছলিম উদ্দিনের মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আব্দুল ওহাব।সোমবার(২৭এপ্রিল) সকালে যখন এলাকাবাসী পুনরায় ঈদগা ময়দানের সামনে সেচ্ছায় বালির বাধের কাজ করছিল সে সময় তছলিম উদ্দিন এসআই আব্দুল ওয়াবকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসলে উক্ত এসআই ঘটনাস্থলে এসেই সাধারণ মানুষকে লাঠিপেটা করতে থাকেন। প্রতিবাদ করতে গেলে গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনকে (৪৫) পানিতে ফেলে মারপিট ও পানির নিচে পা দিয়ে চেপে ধরেন ওই এসআই। স্বামীকে উদ্ধার করতে ছুটে গেলে ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী তহমিনা বেগমকেও (৩২) ওই এসআই লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে।


এত গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এসআইকে ধাওয়া করলে তিনি দৌঁড়ে পালাতে থাকেন। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হকের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ এসে কোনো কিছু না শুনেই গ্রামবাসীর ওপর এলোপাতাড়ি লাঠি চার্জ করতে গেলে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ অবস্থায় পুলিশের দলটি একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বারী পাইলট। তার সহায়তায় উপজেলা হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স এনে আহত ওসি (তদন্ত) ও আহত দম্পতিকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। এখান থেকে আহত ওসি (তদন্ত)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(রমেক) রেফার্ড করা হয়।


এসময় গ্রাবাসী দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচার ও অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল। তিনি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।


উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বারী জানান, থানার এসআই আব্দুল ওহাবের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


বিবার্তা/সুজন/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com