উজানে পানি বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে কাটা হচ্ছে হাওরের ধান। তবে এখনও বাকি ৫০ ভাগ। এদিকে, অপেক্ষকৃত উঁচু হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় ধানকাটা চলছে পুরোদমে। অন্যদিকে, নেত্রকোনার সবচেয়ে বড় হাওর ডিঙ্গিপোতায় কাজ ৯০ ভাগই শেষ।
সুনামগঞ্জের খরচার হাওরে সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে হাওরের নিচু এলাকার জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা বাধ্য হয়ে আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। তবে কৃষি কর্মকর্তার দাবি, আধাপাকা ধান কাটলেও তেমন কোনো ক্ষতি হবে না কৃষকের।
হবিগঞ্জে শ্রমিক সংকট ও আগাম বন্যার আশঙ্কা কাটিয়ে হার্ভেষ্টার মেশিন ও শ্রমিক দিয়ে দ্রুত গতিতে হাওরে পাকা ধান কাটছেন কৃষকেরা। অপেক্ষাকৃত উচু এলাকা হওয়ায় টানা বৃষ্টিতে জমিতে এখনও পানি উঠেনি। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক। জেলার কৃষি বিভাগ বলছে হাওরাঞ্চলের ধান কাটা শেষ হতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লাগবে।
নেত্রকোনার অন্যতম হাওর মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওরের সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা এমন দাবি, মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার। কৃষক ধান কাটায় সন্তুষ্ট হলেও দাম কম হওয়ায় হতাশ।
জেলার হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলায় মোট ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে।
বিবার্তা/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]