পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে ভারত এমন খবরে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এলাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা। এ কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বাজারে সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তাই দামও কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার হিলি বাজারে দেখা গেছে, আমদানি ও দেশীয় দুই জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে আমদানি করা বার্মার পিয়াজ ১০০ টাকা থেকে কমে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ভারতীয় কিছু পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে, যা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, বৃহস্পতিবারও এসব পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতের রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবর শুনেছি। কিন্তু এখনো ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কাগজপত্র আসেনি। তবে যখনই কাগজপত্র পাওয়া যাবে, সেদিন থেকেই আমদানি শুরু হবে। সকালের দিকে আদেশ হলে সেদিনই বিকালে অথবা পরের দিন এ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আগামী রবিবার বা সোমবার থেকে পেঁয়াজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে পণ্যটি নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতার অনেকটাই অবসান হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেই নতুন জাতের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে দেশটির বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এর আগে দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকট দেখিয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার, মিসর, পাকিস্তান, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।
বিবার্তা/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]