ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সলিমগঞ্জে জান্নাতুল ফেরদাউস মহিলা মাদরাসায় আমেনা খাতুন (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে মাদরাসার প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজনকে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মাদরাসাপ্রধান মোস্তফাসহ ৪ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসায় প্রায় ২০০ ছাত্রী লেখাপড়া করছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন ছাত্রী মাদরাসার আবাসিক হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। ঘটনার শিকার ছাত্রী আমেনা খাতুন ষষ্ঠ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। নবীনগরের পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে আমেনাদের বাড়ি। পিতা সৌদীপ্রবাসী মমিনুল ইসলাম। একমাত্র কন্যা আমেনাকে মাদরাসায় শিক্ষা দিতে হোস্টেলে রেখেছিলেন তিনি।
আমেনার মা সেলিনা খাতুন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সেলিম মেম্বার নামের ব্যক্তির আমার মেয়ের মৃত্যুর খবর দেন। দ্রুত ছুটে যাই সলিমগঞ্জের মাদরাসায়। সেখানে গিয়ে দেখি মাদরাসার চতুর্থ তলার চিলেকোঠায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আমার মেয়ের লাশ ঝুলছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মাওলানা বিকেলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। মাদরাসার দ্বিতীয় তলায় থাকা তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার সময় মেয়ের মৃত্যু হয়। পরে মাদরাসার একজন পরিচালক ও চারজন শিক্ষকের সহযোগিতায় মেয়ের লাশটিকে চিলিকোঠায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় বলেন, ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]