বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় জ্বীন ছাড়ানোর চিকিৎসার নামে কালাম মৃধা (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কথিত এক ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কালাম পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মৃত তুজম্বর মৃধার ছেলে। এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত ভন্ড ফকির রিয়াজ ও তার সহযোগীরা আত্মগোপন করলেও তার বোন অনিকা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, জ্বীন ছাড়ানোর নামে দুই দফা তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখার পর রাতে কালামের লাশ বাগানে ফেলে রাখা হয়। নিহত কালামের স্ত্রী পারভীন বেগম (৩০) জানান, তার স্বামী অস্বাভাবিক আচরণ করছিলো। জ্বীনে ভর করেছে এমন ধারণা থেকে জ্বীন ছাড়াতে স্বামীকে নিয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের রিয়াজ ফকিরের কাছে নিয়ে যান।

তিনি জানান, সকাল ১০টায় এবং বিকেল ৪টায় রিয়াজ ফকির তার বাড়ির পুকুরে দুই দফা তার স্বামীকে চুবায় এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে। এতে কালাম মৃধা অসুস্থ হয়ে পড়লে রিয়াজ ফকির তার বোন অনিকার বাসায় লুকিয়ে রাখে। রাতেই কালামের মৃত্যু হলে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে লাশ ফেলে রাখে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বরিশাল সদর সার্কেলের এএসপি আনোয়ার সাঈদ জানান, কালামকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে এবং শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার পর তার লাশ বাগানে ফেলে রাখে কথিত ফকিরেরা। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত রিয়াজ ফকির ও সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বোন অনিকা বেগমকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিবার্তা/জসিম উদ্দিন/এসএ/জাহিদ