শিরোনাম
পাকুন্দিয়ায় জরাজীর্ণ ঘরে চলছে পাঠদান
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:১৯
পাকুন্দিয়ায় জরাজীর্ণ ঘরে চলছে পাঠদান
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ১৯২নম্বর উত্তর চরটেকী ডগারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।


বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় দিন দিন শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমছে। স্থানীয় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করাতে বাধ্য হচ্ছেন। জায়গা নির্ধারণ জটিলতায় বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ আটকে আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে দ্রুত এ জটিলতা নিরসন করে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, নরসুন্দা নদীর পাড়ে লম্বালম্বিভাবে একটি টিনশেড ঘর। এটিই ১৯২নম্বর উত্তর চরটেকী ডগারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভেতরে চারটি কক্ষে চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থী উপস্থিতি সংখ্যাও অনেক কম। টিনশেডে বিদ্যালয়টির বেড়া ও চাল খুবই জরাজীর্ণ। বিদ্যালয়টি বর্তমানে এমনই নাজুক যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাবপত্রাদি অন্যত্র রাখতে হচ্ছে।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় ধাপে সরকারিকরণ হয়। বিদ্যালয়টির নামে টান ও নামা দুই অংশে ৫২শতাংশ করে ১০৪ শতাংশ জমি রয়েছে। বর্তমানে নামা অংশে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে কার্যক্রম চলছে। প্রতিষ্ঠানে মো.হুমায়ুন হোসেন ও জান্নাতুল ফেরদৌস নামে দুজন শিক্ষক রয়েছেন। মনিরা সুলতানা নামে একজন প্যারা শিক্ষকও আছেন। বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণিতে ১৬জন, প্রথম শ্রেণিত ১১জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৮জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১৫জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৩জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ১২জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।


আলমগীর হোসেন, সুমন মিয়া, কুলসুম, শামসুন নাহার, হোসনে আরা, নাজমা, সাথী, জরিনাসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, ১৯৯০সনে টানের ৫২শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত কয়েক বছর আগে নামায় অপর এক ব্যক্তি স্কুলের জন্য জমি দান করেন। সেখানেই বর্তমানে পাঠদান চলছে। তবে বিদ্যালয় ভবনটি যদি টানে নির্মাণ করা হয় তবে সবদিক থেকেই ভালো হবে।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো.হুমায়ুন হোসেন বলেন, জায়গা নির্ধারণ জটিলতায় স্কুল ভবন নির্মাণ আটকে আছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি। অচিরেই জায়গা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হবে। জটিলতা নিরসন হলে ভবন নির্মাণে আর কোনো বাধা থাকবে না।


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জায়গা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/হৃদয়/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com