শিরোনাম
বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে হাসপাতালে অর্ধশতাধিক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১০:০৬
বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে হাসপাতালে অর্ধশতাধিক
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নে এক বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে বর-কনেসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।


সোমবার (৭ অক্টোবর) ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ধনিপাড়া গাইঘাটা গ্রামে বৌভাতের খাবার খাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।


জানা গেছে, সোমবার ধনিপাড়া গাইঘাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান হয়েছিল। দাওয়াত খাওয়ার পর খাদ্যে বিষক্রিয়ায় পাতলা পায়খানা, বমি ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে দুটি হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন ভর্তি হয়েছেন।


এ খবর শোনার পর পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন ডা, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আক্রান্ত রোগীদের দেখতে যান। এসময় তারা রোগীদের আতকিংত না হতে পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।


হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের গাইঘাটা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাদেরপুর এলাকার আমিরুল ইসলামের মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। সোমবার মাজেদুলের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন ছিল। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে দাওয়াত কার্যক্রম। এতে প্রায় ৪শ’জন দাওয়াত খান। খাবার খেয়ে যে যার মতো বাড়ি ফিরে যান। মঙ্গলবার ভোর থেকে এক এক করে ওই বিয়ে বাড়িতে খাবার খাওয়া লোকজনের মধ্যে ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে গেলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ জন ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নয়জন ভর্তি হন।


বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জায়গার সঙ্কুলান না হওয়ায় প্রতি বেডে দুজন করে রোগী রাখা হয়েছে। এছাড়া বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। একসঙ্গে এত রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন খাবারে পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।


বরের বাবা সেরাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামের অনেকেরই অসুস্থ হওয়ার খবর পাই। আমি নিজেসহ পরিবারের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেউ হয়তো খাদ্যে কোনো কিছু মিশিয়ে দিতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।


বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসান বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া ও বমি হতে পারে। আমরা আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি। স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।


পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন এ ঘটনায় তদন্তে বোদা থানার ওসি আবু হায়দার আশরাফুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন।


বিবার্তা/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com