বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ তার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স কুষ্টিয়ায় পৌঁছায়। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে আবরারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঢাকায় বুয়েট প্রাঙ্গণে গতকাল রাত ১০টার দিকে। এরপর তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।
স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, দুপুর নাগাদ আবরারের দাফন হবে তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গায়। দাফনের আগে সেখানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বুয়েটের এ শিক্ষার্থীর মরদেহ কুষ্টিয়ায় পৌঁছলে তাকে এক নজর দেখার জন্য সেখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শত শত নারী-পুরুষের ঢল নামে। আবরারের মরদেহ দেখতে আসা ও জানাজায় অংশ নেয়া অনেকের প্রশ্ন ছিল, বুয়েটে তো অনেক মেধাবী ছাড়া ভর্তি হওয়া যায় না। তাহলে যারা আবরারকে হত্যা করেছে, তারাও তো মেধাবী। কিন্তু তারা কি শিখেছে?
গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় হত্যা একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]