শিরোনাম
‘আবরারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি’
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১৩
‘আবরারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি’
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার মা রোকেয়া খাতুন।


সোমবার সকালে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না এত মেধাবী ও শান্তশিষ্ট ছেলেটিকে কারা কী কারণে হত্যা করল।


রোকেয়া খাতুন বলেন, ছেলে আবরার ফাহাদের কোনো শত্রু ছিল না। তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।


ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই হলের নিচতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।


আবরারের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল। কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি।


রোকেয়া খাতুন বলেন, রবিবার সকালে আমি তাকে নিজে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। সে ঢাকায় রওনা দেয়। মাঝে তিন থেকে চারবার ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে আমার কথা হয়। বিকেল ৫টায় হলে পৌঁছে ছেলে আমাকে ফোন দেয়। এরপর আর কথা হয়নি। রাতে অনেকবার ফোন দিয়েছিলাম, ও আর ফোন ধরেনি।


ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ফোন না ধরায় আমি ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ভাইয়াকে নক করি। ভাইয়া সে সময়ও ফেসবুকে অ্যাকটিভ ছিল, তবে সাড়া দেয়নি।


চাচা মিজানুর রহমান বলেন, আবরার ফাহাদ শিবিরের কর্মী বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা বানোয়াট, আবরার একজন উদারমনা ও প্রগতিশীল ছেলে। আমরা গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের সব প্রোগ্রাম আমরা যাই। তবে আবরার তাবলিগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পরও দুই তিনবার সে তাবলিগে গিয়েছিল।


এর আগে গত ৫ অক্টোবর এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নিজের ফেসবুকে দুটি সমালোচনামূলক পোস্ট দেন আবরার।


বিবার্তা/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com