নাটোর গুরুদাসপুরে বিচিত্র অবয়বে জন্ম নিয়েছে জোড়া শিশু। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে শনিবার জন্ম নেয়া শিশু দুটি একে অপরের বুক ও পেটের সঙ্গে যুক্ত। পৃথক অঙ্গের ঘাটতিসহ রয়েছে তাদের নানা জটিলতা। দরিদ্র পিতামাতা সদ্য ভূমিষ্ঠ জোড়া শিশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। সাত বছরের দাম্পত্য জীবনে প্রথম সন্তান পেয়ে তাদের যতোটুকু আনন্দিত হওয়ার কথা তা ম্লান হয়ে গেছে একরাশ অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুরুদাসপুর পৌরসভার নারায়নপুর মহল্লায় বসবাস দিনমজুর মোহাম্মদ আলী ও রুপালি খাতুন দম্পতি। শনিবার বিকেলে স্থানীয় হাজেরা ক্লিনিকে জন্ম হয় তাদের জোড়া শিশু। ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে আনেন যমজ সন্তান। কিন্তু একই সময়ে পৃথিবীর আলো দেখা এ শিশু দুটির শরীর প্রায় পুরোটা সংযুক্ত। আকৃতিতে একটু বড় নবজাতকের অঙ্গ বোঝা গেলেও শরীরে যুক্ত আরেক শিশুর অনেক অঙ্গ দৃশ্যমান নয়। নানা জটিলতার মাঝে থাকা অদ্ভূত শিশু দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমছে ক্লিনিকটিতে।
চিকিৎসকরা জানান, জোড়া শিশু কার্যত সুস্থ হলেও রয়েছে নানা জটিলতা। আলাদা প্রাণের স্পন্দন থাকলেও আকৃতিতে ছোট শিশুর কোনো পা নেই। তার মলদ্বার নেই, মুত্রনালী নেই। তাকে দুধ খেতে দিলে কিছুক্ষণ পর তা বের হয়ে আসছে মুখ দিয়ে। বড় আকৃতির টিউমার যুক্ত রয়েছে এ শিশুর মাথার সাথে। আকৃতিতে বড় শিশুর জটিলতা একটু কম। সে খাচ্ছে,কান্নাকাটি করছে অনেকটা স্বাভাবিক নবজাতকের মতো। তবে শরীরে আরেকটি শরীর যুক্ত থাকায় তার সমস্যা হচ্ছে ঘুম, খাওয়াসহ সব কাজে।
স্বজনরা জানান, বিয়ের সাত বছর পর রুপালী খাতুন প্রথম মা হলেন। কিন্তু সন্তান নিয়ে কারো মাঝে উচ্ছাস নেই। জোড়া নবজাতক বাঁচানো যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সকলে। যদিও পিতা মোহাম্মদ আলী অনেক আগ্রহ নিয়ে দুসন্তানের নাম রেখেছেন আবুজর গিফারী ও আবু দারদা। সন্তান বাঁচাতে মোহাম্মদ আলী ও রুপালী দম্পতি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, ঢাকায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে দুই শিশুকে আলাদা করতে না পারলে দুজনই মারা যেতে পারে। তাদের চিকিৎসার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল।
বিবার্তা/সাকলাইন শুভ/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]