শিরোনাম
জরাজীর্ণ টিনের ঘরেই চলছে পাঠদান
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:২৪
জরাজীর্ণ টিনের ঘরেই চলছে পাঠদান
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ টিনের ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। প্রায় দুই যুগ ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম।


টিনের চালার ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে চালের টিন। বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় শ্রেণিকক্ষের মেঝে। এতে করে দূর্ভোগে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।


সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীরা দৈনিক সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শতভাগ শিক্ষার্থীর স্কুলের পোশাক না থাকলেও তারা সুশৃঙ্খল ভাবে সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও দেশপ্রেম মূলক শপথ বাক্য পাঠ করে।


সমাবেশ শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ছিদ্র দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে আমাদের বই খাতা ভিজে যায়। কবে আমরা পাকা ঘরে বসে ক্লাস করতে পারব? অন্য বিদ্যালয়ের মত পাকা ঘরে ফ্যানের নিচে বসে আমরা পড়তে চাই।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা শেখের মাড়িয়া গ্রাম ও তার পাশের গ্রামের শিশুদের শিক্ষার জন্য ১৯৯৭ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগীরা চাঁদা তুলে ৩৩ শতক জায়গার উপর বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলতে থাকে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে জরাজীর্ণ তিনটি কক্ষে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম দুলাল বলেন, এ বিদ্যালয়ে আমরা পড়া শোনা করেছি। দীর্ঘদিনেও বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নির্মাণ হয়নি, বিষয়টা দুঃখ জনক।


তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, তাই শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য এই বিদ্যালয়ে একটি পাকা ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।


অভিভাবক আলম হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের কক্ষগুলোর অবস্থা ভাল না। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতর পানি পড়ে। যার কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। আমার এই বিদ্যালয়ের জন্য নতুন একটি পাকা ভবন চাই।


প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান জানান, আমরা বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান করছি। শ্রেণিতে পাঠদান শেষে শিক্ষকদের বসার জন্য কোনো কক্ষ নেই। পঞ্চম শ্রেণির কক্ষেই আমরা বসি। প্রাক-প্রাথমিকের উপকরণ রয়েছে, কিন্তু কক্ষ অভাবে তাদের ক্লাস নিতে পারি না।


তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের সাথে সব সময় যোগাযোগ রেখেছি।


এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতি বছরের বরাদ্দের তালিকায় মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথমে রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরি ওই বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান হবে।


বিবার্তা/মুনিরুজ্জামান/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com