ভোলার মেঘনায় জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ। এতে জমজমাট হয়ে উঠেছে মাছের আড়তগুলো। জেলে, আড়তদার ও পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার মাছঘাটগুলো।
দেরিতে হলেও নদীতে মাছ ধরা পড়ায় তাই হাসি ফুটে উঠছে জেলেদের মুখে। মাছ বিক্রির টাকায় লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলে পরিবারগুলো।
জেলেরা জানায়, এতোদিন নদীতে মাছের দেখা মেলেনি, এতে বেশিরভাগ জেলে দাদন আর মহাজনের দেনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু গত চার, পাঁচদিন ধরে নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। এতে ধার-দেনা পরিশোধ হবে। লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
ভোলার ঢালচর, পাতিলা, কুকরী মুকরী, সামরাজ, বকসি, পাঁচ কপাট, খেঁজুরগাছিয়া, ও বেতুয়া ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ঢালচর এলাকার জেলে জসিম ও শাহে আলম বলেন, গত কয়েক মাস সারাদিন জাল নিয়ে ছুটলেও ফিরতে হতো প্রায়ই খালি হাতে। কিছুদিন হলো এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা অনেকটা সন্তোষজনক। এখন প্রায় একখেও দিলে ১০/১২ হাজার টাকার মাছ পাওয়া যায়।
সামরাজ এলাকার জেলে আবদুল রহমান বলেন, চারদিনে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি, মাছের আমদানি অনেক ভালো। এতে অনেক জেলেই দাদন শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
চর পাতিলার মাছ ঘাটের আড়তদার আনোয়ার বলেন, নদীতে মাছ ধরা পড়ায় জেলে ও আড়তদাররা অনেক খুশি। দিন যতো বাড়বে মাছের আমদানি আরো বাড়বে। এখানকার মাছ ঢাকা, বরিশাল ও চাঁদপুর পাঠানো হয়ে থাকে।
শাহে আমল নামের এক আড়তদার জানান, মাছ ধরা পড়লেও মা ইলিশ অভিযান নিয়ে কিছুটা চিন্তিত, কারণ শেষ মুহূর্তে মাছ ধরা পড়া শুরু করেছে। তবুও জেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
ভোলা জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে একলাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৪০/৪৫ মেট্রিক উৎপাদন হয়েছে। আশা করছি ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ মাছ ধরা টানা ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বিবার্তা/শাহীন/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]