সুইফটের ৩৪টি গান এক মিনিটেই সঠিকভাবে শনাক্ত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানি তরুণ বিলাল ইলিয়াস জাহানদিন।
মার্কিন সংগীতশিল্পী টেলর সুইফটের দারুণ ভক্ত এই তরুণ। সুইফটের গান শোনেন, অসংখ্য গানের কথাও তিনি মুখস্থ করে ফেলেছেন। সম্প্রতি সেটার প্রমাণও দিয়েছেন।
এক ব্যক্তি সুইফটের একের পর এক গানের কথা (লিরিক) জোরে জোরে পড়তে থাকেন। এর সঙ্গে ছিল না কোনো বাদ্যযন্ত্রের সুর। সেখান থেকে ২০ বছর বয়সী বিলাল সুইফটের প্রতিটি গান শনাক্ত করেন।
এই রেকর্ড আয়োজনে রাখা ছিল সুইফটের সর্বোচ্চ বিক্রীত অ্যালবামের ৫০টি গান। প্রতিযোগীর জন্য এগুলো এলামেলোভাবে সাজানো ছিল। বিলালের জন্য পরীক্ষা ছিল, এসব গানের প্রথম দিকের কথা শনাক্ত করা।
বিলালের আগে এই রেকর্ড ছিল যুক্তরাজ্যের ড্যান সিম্পসনের। ২০১৯ সালে তিনি এক মিনিটে ২৭টি গান শনাক্ত করেছিলেন।
বিলাল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই টেলর সুইফটের গান শুনি। আমি তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত। আমি তাঁর প্রতিটি গান শুনেছি। গানের কথা থেকে আমি তাঁর প্রায় সব গানই শনাক্ত করতে পারি।’
বিলাল আগেও নানা রেকর্ড গড়েছেন। যেমন ২০২১ সালে প্রাণীর ডাক শুনে এক মিনিটে ২৩টি প্রাণী শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। আর গত বছর জাস্টিন বিবারের গান এক মিনিটে শনাক্ত করেছিলেন ২৯টি। তবে তিনি বলেছেন, সর্বশেষ যে রেকর্ড তিনি গড়েছেন, সেটি নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গর্বিত।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সর্বোচ্চ স্কোর করার জন্য বিলাল ১৩ সপ্তাহ প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বিলাল বলেন, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সুইফটের ফোকলোর অ্যালবামটি। এটি তাঁর দৃষ্টিতে শিল্পীর মাস্টারপিস।
বিলাল বলেন, ‘সুইফটের গানের যে জিনিস আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, তা হলো গানের কথা। তাঁর গান আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাঁর গানের লেখনীর অকৃত্রিমতা, গানের কথার মধ্যে থাকা গভীর আবেগ এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো শ্রোতার মনে তা দাগ কেটে যায়।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]