
প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া নামক একটি দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত একটি অস্পষ্ট ভূমি এটি, যা বহু বছর ধরে একটি রহস্য হয়ে আছে। গুগল ম্যাপে এই দ্বীপ কখনও দেখা যায় আবার কখনো অদৃশ্য! বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের রীতিমতো বিভ্রান্ত।
রহস্যময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপটি নিয়ে প্রথম ১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ নাবিক ক্যাপ্টেন জেমস কুকের ‘চার্ট অফ ডিসকভারিজ ইন দ্য সাউথ প্যাসিফিক মহাসাগরে’ উল্লেখ করা হয়। এরপর আলোচনার বাইরে থাকে দ্বীপটি। প্রায় একশো বছর পর ১৮৭৬ সালে একটি জাহাজ শিকার করতে গিয়ে দ্বীপটি দেখতে পায়। ১৯ শতকের দিকে দ্বীপটি ইংল্যান্ড এবং জার্মানির বেশ কয়েকটি মানচিত্রে জায়গা করে নেয়।
বার্তা সংস্থা এক্সপ্রেস অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরে এটি আবারও ১৮৯৫ সালে দেখা গিয়েছিল। দ্বীপটি আয়তনে ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫ কিলোমিটার প্রশস্ত বলে জানা যায় তখন।
পরে ১৯৭৯ সালে ফরাসি হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিস এটিকে তার নটিক্যাল চার্ট থেকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দিয়ে দ্বীপটির অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।
২০১২ সালের নভেম্বরে বেশ কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী স্যান্ডি দ্বীপের দিকে যান কিন্তু তখন তারা সমুদ্র ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাননি। এমনকি তারা সেই জায়গার গভীরতাও রেকর্ড করেছিলেন। যা ছিল ৪৩০০ ফুট গভীর। এ গভীরতা থেকে বোঝা যায় যে দ্বীপটির সমুদ্রের নীচে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা কম নয়। এর ৪ দিন পর গুগল ম্যাপস দ্বীপটি ম্যাপ থেকে সরিয়ে দেয়।
গুগল ম্যাপে দ্বীপটিতে ক্লিক করা হলে সেখানে খুব ছোট একটি ভূমি দেখা যেত আগে, যেটি এখন আর দেখা যায় না। কেউ সত্যিই জানে না যে দ্বীপটির রহস্য আসলে কী। রহস্যময় এই দ্বীপটি কখনও বিদ্যমান ছিল কি না তা আজও অজানা। এভাবেই এটি এখনও পর্যন্ত একটি রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]