
অস্ট্রিয়াকে বিদায় করে ১৬ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছে তুরস্ক। এই ম্যাচে ২-১ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে তারা। ২০০৮ সালের আসরে শেষবার সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছিল তুরস্ক। যদিও সে আসরে সেমিফাইনালও খেলেছিল তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে তুরস্ক।
লাইপজিগ স্টেডিয়ামে ম্যাচের অর্ধ মিনিট পার না হতেই কর্নার পায় তুরস্ক। সেখান থেকে আর্দা গুলারের শট অস্ট্রিয়ার ডি-বক্সের ভেতর গিয়ে পড়লে নিজেদেরকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি অস্ট্রিয়ার ক্রিসটপ বৌমগার্টনার। গোললাইন থেকে গোলরক্ষক বল সরিয়ে দিলে সেটি পেয়ে দুর্দান্ত শটে গোল করেন তুরস্কের মেরিহ ডেমিরাল। এতে ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুর্কিরা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে কোনো নকআউট ম্যাচে দ্রুততম গোলের রেকর্ড এটি। আর সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের দ্বিতীয়। এর আগে চলতি আসরেই ইতালির বিপক্ষে ২৩ সেকেন্ডে গোল করে ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ড করেছিলেন আলবেনিয়ার নেদিম বাজরামানি।
৩ মিনিটে আক্রমণে আসে অস্ট্রিয়ার বৌমগার্টনার। মার্সেল সবিৎজালের অ্যাসিস্ট থেকে তার শটটি গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৭ মিনিটে লেইহার্টের হেড অল্পের জন্য তুরস্কের গোলবার স্পর্শ করতে পারেনি।
শুরুর গোল শোধ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে অস্ট্রিয়া। বারবার আক্রমণে আসতে থাকে তারা। মাঝেমধ্যে দুই একটি আক্রমণ ছিল তুরস্কেরও। ১৯ মিনিটে গুলারের বাঁপায়ের শট আর ২৫ মিনিটে ডেমিরালের হেড অস্ট্রিয়ার গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও দুটি আক্রমণ করলেও লক্ষ্য অর্জিত হয়নি অস্ট্রিয়ার। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে তুরস্কের উপর চাপ বাড়াতে থাকে অস্ট্রিয়া। তবে উল্টো গোল পেয়ে যায় তুরস্ক। ৫৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডেমিরাল। এতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তুর্কিরা।
ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া অস্ট্রিয়া ৭ মিনিট পরই একটি গোল শোধ করে দেয়। স্টিফেন পোচের কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন মাইকেল গ্রেগোরিচ। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১।
৩ মিনিট পরই আবার আক্রমণে আসে অস্ট্রিয়া। এবার গ্রেগোরিচের হেড রুখে দেন তুরস্কের গোলরক্ষক। এরপর ৭৩ ও ৭৫ মিনিটে অস্ট্রিয়ার দুটি আক্রমণই ব্যর্থ হয়।
শেষ দিকে এসে সমতায় ফেরার জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে অস্ট্রিয়া। অপরদিকে লিড ধরে রাখার জন্য দেয়াল তৈরি করে তুরস্ক।
৯৩ মিনিটে আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে তুরস্ক। তবে সফল হতে পারেননি ব্যারিস আলপার উইলম্যাজ। সেখানে কাউন্টার অ্যাটাকে পাল্টা আক্রমণ করে অস্ট্রিয়া। বৌগার্টনারের হেড পাখির মতো লাফিয়ে পড়ে দুর্দান্ত সেভ দেন তুরস্কের গোলরক্ষক।
শেষ পর্যন্ত আর তুর্কিদের শক্তিশালী দেয়াল আর ভাঙতে পারেনি অস্ট্রিয়া। ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে। অপরদিকে বিদায় নিতে হয়েছে অস্ট্রিয়াকে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]