শেষ ৬ ওভারে দরকার মাত্র ২৪। হাতে ৮ উইকেট। লিটন দাস যেভাবে খেলেছেন, এই ম্যাচে তো হেসেখেলেই রান তাড়া করার কথা ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। কিন্তু ৪২ বলে ৭ চার আর ৪ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলা লিটন আউট হতেই কুমিল্লাকে চেপে ধরে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
শেষ পর্যন্ত ১৩০ তাড়া করতে ঘাম ঝরেছে কুমিল্লার। যদিও জয় হাতছাড়া করেনি তারা। এক ওভার হাতে রেখে জিতেছে ৫ উইকেটে। এটি এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় জয় ইমরুল কায়েসের কুমিল্লার। অন্যদিকে ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেলো মাশরাফির সিলেট।
এর আগে খাদের কিনারা থেকে সিলেটকে টেনে তোলেন ইমাদ ওয়াসিম আর থিসারা পেরেরা। ৫৩ রানে তাদের ছিল না ৭ উইকেট। তখনও ইনিংসের ১০ ওভার পূর্ণ হয়নি।
টানা পাঁচ জয় মাথায় নিয়ে উড়তে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য অপেক্ষা করছিল বড় লজ্জা। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে দলকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দেন ইমাদ ওয়াসিম আর থিসারা পেরেরা। ৬৩ বলে তারা গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৮০ রানের জুটি। যে জুটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। টপঅর্ডারের সাত ব্যাটারের কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। মোহাম্মদ হারিস ৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩, আকবর আলি ১, জাকির হাসান ৯, মুশফিকুর রহিম ১৬, শরিফুল্লাহ ১ আর মাশরাফি বিন মর্তুজা করেন ০।
৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সিলেট। সেই কঠিন বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন ইমাদ আর পেরেরা। ইমাদ ৩৩ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৪০, পেরেরা ৩১ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
কুমিল্লার দুই পেসার হাসান আলি আর মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ নেন দুটি করে উইকেট।
বিবার্তা/এমএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]