অনিয়ম-দুর্নীতিতে লাগামহীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফের ঢাবিতে, নেপথ্যে উপাচার্য!
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩, ২২:৩৩
অনিয়ম-দুর্নীতিতে লাগামহীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফের ঢাবিতে, নেপথ্যে উপাচার্য!
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ৫৩ জনকে অবৈধ পন্থায় নিয়োগ, ডিজিটাল যুগে এসে সিন্দুকে টাকা রেখে নগদ লেনদেন, পুরাতন কাগজপত্র বিক্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঠকানোসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে একা‌ধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়ে‌ছে। আর এসবের দায়ে তাকে শোকজও করা হয়েছে।


এদিকে সম্প্রতি ঢাবির উপাচার্য বাসভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মোনাজাত ধরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল। ফলে এই ঘটনায়ও তাকে ফের শোকজ করা হয়েছে। অথচ এই দুই শোকজের পরও কোন তদন্ত কমিটি গঠন না করে উল্টো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ছুটি মঞ্জুর করে অফিস করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী উপাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন করেও একের পর এক পার পেয়ে যাচ্ছেন।


‌বি‌ভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থে‌কে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম নীতির কোন ধরণের তোয়াক্কা না করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই মৌ‌খিক নি‌র্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন বাহালুল হক চৌধুরী। জরুরি কার্য সম্পাদনের অজুহাত দে‌খি‌য়ে এই সময়কালে তিনি নিজের একচ্ছত্র আধিপত্যে ৫৩ জনকে "শিক্ষানবীশ" না‌মে নিয়োগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তাকে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানা যায়।


এদিকে, বাহালুল হকের বিরুদ্ধে ঢাবি অধিভূক্ত সাত কলেজ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সিন্দুকে রেখে নিজের ইচ্ছে মতো ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। ডিজিটাল যুগে এসে তার এমন লেনদেনের ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠে। শুধু তাই নয়, তার সিদ্ধান্তে দেশের সর্বপ্রাচীন উচ্চ‌শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পুরাতন কাগজপত্র বিক্রিতে ১৮ লাখ টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।


পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের এসব লাগামহীন অনিয়ম- দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ফলে নড়েচড়ে বসে ঢাবি প্রশাসন। পরে গত বছরের ১১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রে‌জিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক শোকজ চিঠির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শিয়ে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়। এদিকে ডিজিটাল যুগে সিন্দুকে লেনদেনের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ভিন্ন এক চিঠিতে অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজগুলো থেকে নগদে কোন ধরণের ফি না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।


এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্ত বাহালুল হকের কাহিনী। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে ঢুকে হঠাৎ করেই বক্তব্য প্রদান ও ‘প্রতিবাদী মোনাজাত’ করেন তিনি। সেখানে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়ার ঘোষণাও দেন। এই ঘটনার বিষয়ে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, ‘তিনি (বাহালুল) মানসিকভাবে অস্থিরতায় ভুগছেন, কী করবে বুঝে উঠতে পারছেন না। আমি তার পরিবারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি, তারাও বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। কী করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছি।’


এরপর বাহালুলের ‘অনুপস্থিতিতে’ ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার সই করা এক অফিস আদেশে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছানাউল্লাহকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব প্রদান করেন উপাচার্য। তারপর ফের চাকরিতে ফেরার আবেদন করেন অভিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী। এদিকে, বুধবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে বাহালুল হক চৌধুরীকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তাকে নিজ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে উপাচার্য ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান ও মোনাজাত পরিচালনার ব্যাখা তিনদিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।


একদিকে বাহালুল হক মানসিকভাবে অস্থিরতায় ভুগছেন বলে উপাচার্যের মন্তব্য, অন্যদিকে তার অসংগতিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের দায়ে শোকজ নোটিশ দেয়া হলেও গত ৫ মার্চ অ‌ভিযুক্ত বাহালুলকে দেয়া ঢাবি প্রশাসনের চিঠিতে ঠিকই পল্টি মেরে তাকে ফের কাজে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। উপাচার্যের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের স্বাক্ষর করা এই চিঠিতে বাহালুল হক চৌধুরীকে শুধু কাজে যোগদানের আদেশ নয় বরং তার গুণকীর্তন করে নানা বিশেষণও ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় ও বাইরের মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।


এই চিঠিতে বলা হয়েছে,“আপনার ০২-০৩-২০২৩ তারিখের পত্রের বরাতে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা এবং সর্বোপরি মানবিক ও অসম্প্রদায়িক মূল্যবোধ এবং আপনার আবেদন বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় উপাচার্য ১০-০২-২০২৩ হতে ০৪-০৩-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করেছেন। একইসঙ্গে আপনাকে ০৫-০৩-২০২৩ তারিখে কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতিসহ পেশাদারিত্বের প্রতি অধিকতর যত্নশীল হওয়ার জন্যও পরামর্শ দেয়া হলো।”



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাবির একটি সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আস্থাভাজন ও বৃহত্তর ব‌রিশাল অঞ্চ‌লের লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। নানা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হ‌চ্ছে ব‌লে জানায় সূত্রটি।


নানা অনিয়মের দায়ে শোকজ চিঠি দেয়ার পরেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বিবার্তাকে বলেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র। আপনি এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলতে পারেন।


ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর নানা অনিয়ম -দুর্নীতি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরেও পার পেয়ে যাওয়ার বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, সমাজ‌বিজ্ঞান বিভা‌গের চেয়ারপার্সন ও আওয়ামী লী‌গের উপ‌দেষ্টামণ্ডলীর সদস‌্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বিবার্তাকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, এখনো আছি। আমি মনে করি, এই ধরণের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে উঠে সেক্ষেত্রে শোকজ দেওয়ার প্রয়োজন তো আছে, সাথে সাথে সিন্ডিকেট থেকে তদন্ত কমিটি হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা, কন্ট্রোলার শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করেন না, বরং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত যে সাতটি কলেজ রয়েছে সেগুলোরও দেখাশোনা করেন। কাজেই এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে দক্ষতার মাধ্যমে করতে হয়। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে এতো বড় অভিযোগ! চাকরি দেয়া, টাকা পয়সা সিন্দুকে রাখা, হিসাব না থাকাসহ নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, এই প্রেক্ষিতে আগে তদন্ত করে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।


তিনি বলেন, সে (কন্ট্রোলার) মোনাজাত ধরেছে, উপাচার্যের অফিসে গেছে। এমনকি উপাচার্যের বাসভবনে কর্মচারীদের নিয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই কোন গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়। এরই প্রেক্ষিতে তাকে দ্বিতীয় শোকজ দিয়ে কিছুদিনের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে! কি অদ্ভূত কথাবার্তা! এই বিষয়টা কী ভাবা যায়? আমি মনে করি না, কোন প্রফেশনাল আচরণ এখানে করা হয়েছে। অবিলম্বে এটাকে খতিয়ে দেখা এবং তদন্ত করে সুষ্ঠু সুরাহা প্রয়োজন।


এ বিষ‌য়ে ঢাকা বিশ্ববিবিদ্যালয়ের বর্তমান প্রো‌ভি‌সি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিবার্তাকে ব‌লেন,আ‌মি আ‌গেও ব‌লে‌ছি এবং এখনও বল‌ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অ‌ফিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় এক‌টি শাখা। অ‌ভি‌যোগগু‌লো খুবই গুরুতর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও সুনাম সমুন্নত রাখার স্বা‌র্থে এস‌বের সুষ্ঠু তদন্ত ক‌রে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।


নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৫৩ জনকে অবৈধ পন্থায় নিয়োগের দায়সহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দুই দফায় শোকজ চিঠি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিবার্তাকে বলেন, আমাদের এখানে তো নিয়োগ দেয়া হয়নি। এই রকম তো কোন নিয়োগের প্রমাণ পাইনি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া নিয়োগের বিধান আমাদের এখানে নাই।


পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দুই দফায় শোকজ দেয়ার পরেও ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শোকজ কোথায়? এগুলো বানানো। দুষ্ট লোকদের কারবার। এটা শোকজ না। উনি ছুটিতে ছিলেন, চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছু কিছু অপেশাদারিত্ব আচরণ করেছেন। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আগাম মন্তব্য করার কারণ নাই। কোন বিষয়ে উসকানি বা জটিলতা সৃষ্টি করা বিভিন্ন অসৎ লোকের উদ্দেশ্য থাকে প্রশাসনের মধ্যে। আমাদের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সবকিছু প্রফেশনালি দেখতে হবে। আগাম বাড়তি কথা বলার কোন সুযোগ নেই।


দুর্নীতির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের করণীয় সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, কারো বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ আসে এবং সেগুলো যদি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তখন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।


তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সেটা যেমন তদন্ত করতে হয়, ঠিক একইভাবে গণমাধ্যমে আসার পর যখন একটা বিষয়কে সারা দেশের মানুষ জেনে যায়, তখন সেই বিষয়ের তদন্ত করে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কারণ তা না হলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি হবে। কারণ, ঘটনা ঘটার পর জনগণ বলবে, এই ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ কী করছে? কাজেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ভার্সন দরকার। আর এই ভার্সন আসবে কোথা থেকে? এটা তো তদন্তের ভিত্তিতে আসতে হবে।


তবে বাস্তবতা হ‌চ্ছে দুর্নী‌তিগ্রস্ত এই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দুর্নী‌তির বিষয়ে এখনও তদন্ত ক‌রে কোন ব্যবস্থা নেয়া হ‌চ্ছে না। উল্টো তাকে প্রশংসায় ভাসানো চিঠি দিয়ে ফের কাজে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌তো প্রতিষ্ঠা‌নে সংঘ‌টিত এসব দু‌র্নী‌তি, অ‌নিয়ম ও স্বেচ্ছাচা‌রিতা সকল মহলে ব‌্যাপক সমা‌লোচনা ও হতাশার জন্ম দি‌য়েছে।


বিবার্তা/এসএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com