শিরোনাম
শতবর্ষের আলোয় আলোকিত ঢাবি, রাত পোহালেই অনুষ্ঠান
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ২১:১১
শতবর্ষের আলোয় আলোকিত ঢাবি, রাত পোহালেই অনুষ্ঠান
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

রাত পোহালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে এ অনুষ্ঠান ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাস সেজেছে অপরূপ সাজে।সব মিলিয়ে শতবর্ষের আলোয় আলোকিত এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।


জানা গেছে, গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ পূরণ করলেও বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যায় শতবর্ষের অনুুষ্ঠান। পরে এই অনুষ্ঠানের দিন ধার্য্য করা হয় ১লা ডিসেম্বর। একইদিন মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও একসাথে উদযাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


সরেজমিনে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে দেখা যায়, শতবর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জা শোভা পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ অনুষ্ঠান ঘিরে উচ্ছ্বসিত। হৈ হুল্লোড় , আনন্দ উল্লাসে তাদের ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। শতবর্ষের অনুষ্ঠানের স্মৃতি রক্ষার্থে সেলফিসহ ফটোসেশনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদেরও এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করতে দেখা গেছে।



বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিসহ নিরাপত্তার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে থাকছেন না মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ। তবে তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল সাড়ে ১১ টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ভূটানের প্রধানমন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই লোটে শেরিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।


এর আগে গত ২০ নভেম্বর এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানে দেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আব্দুল হামিদ সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলো।


ঢাবি উপাচার্যের এ সংবাদ সম্মেলনের কয়েকদিন পর হঠাৎ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সশরীরে উপস্থিত না থাকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, রাষ্ট্রপতি আসবেন গত ২০ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে জানালো হলো। এখন শোনা যাচ্ছে, তিনি সশরীরে আসবেন না। করোনা পরিস্থিতিসহ নিরাপত্তার কারণ হলে সংবাদ সম্মেলনের আগেও এটা জানা যেত। অনুষ্ঠানের কিছুদিন আগে জানলাম তিনি আসবেন না। তার না আসার কারণ অন্যকিছু থাকতে পারে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সমালোচিত কর্মকাণ্ডের কারণে প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আসছেন না বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট এই মহল।


রাষ্ট্রপতির না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিবার্তাকে বলেন, আমি শুনেছি রাষ্ট্রপতি মহোদয় উপাচার্যকে জানিয়েছেন তিনি সশরীরে আসছেন না। তবে তিনি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন।



এদিকে মঙ্গলবাল ( ৩০ নভেম্বর ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শতবর্ষের অনুষ্ঠান সূচি সম্পর্কে জানানো হয়।


এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং ‘থিম সং’ পরিবেশন করা হবে। এছাড়া, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’র সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-কে বিশেষ স্যুভেনির প্রদান করবেন।



বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উৎসবের উদ্বোধনী দিনসহ ২ ডিসেম্বর, ৩ ডিসেম্বর, ৪ ডিসেম্বর ও ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। প্রথিতযশা শিল্পী ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পীবৃন্দ ও অ্যালামনাইবৃন্দ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।


উদ্বোধনী দিনে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলের আলোচনা পর্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার অংশগ্রহণ করবেন । আলোচনা সভায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।


উৎসবের ২য় দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এমপি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু অংশগ্রহণ করবেন।



উৎসবের ৩য় দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও অনারারি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সংসদ-সদস্য রাশেদ খান মেনন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ অংশগ্রহণ করবেন।


উৎসবের ৪র্থ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহাদত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার অংশগ্রহণ করবেন ।


আগামী ১২ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক বিজয় র্যালি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে। ঐদিন বিকেলের আলোচনা পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে রেল মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক এ আর এম মনজুরুল আহসান বুলবুল অংশগ্রহণ করবেন।



আগামী ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টায় মহান বিজয় দিবসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘লেজার শো’ আয়োজন করা হবে।


শতবর্ষের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বিবার্তাকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আমরা যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম তার সবগুলোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চেকআপের কাজ চলছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস


১৯১২ সালের ৩০ জানুয়ারি পূর্ব বাংলায় উচ্চশিক্ষার আলো জ্বালাতে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তোলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রমুখের নেতৃত্বাধীন একটি দল। তিনদিন পর ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন লর্ড হার্ডিঞ্জ।


একই বছরের মে মাসে স্যার রবার্ট নাথানিয়েলের নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের নাথান কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিলে ডিসেম্বর মাসে তা অনুমোদন পায়। পরে ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিবেদন দেয়। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভা `ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন (অ্যাক্ট নং ১৩) ১৯২০` পাস করে।


১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, তিনটি আবাসিক হল, ৬০ জন শিক্ষক ও ৮৭৭ শিক্ষার্থীকে নিয়ে।


বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৪টি বিভাগ, ১২টি ইনস্টিটিউট, ৫৪টি গবেষণা কেন্দ্র ও ব্যুরো, ২০টি আবাসিক হল ও তিনটি হোস্টেল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা এক হাজার ৯৯৯ জন। ৬০০ একর জমি নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বর্তমানে এর জমির পরিমাণ ২৭৫.০৮৩ একর।


বিবার্তা/রাসেল/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com